Country:Turkey
গল্প:Bliss 2007 সালে মুক্তি পাওয়া একটি তুর্কি ড্রামা মুভি। মুভিটি একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।এই মুভির গল্প গড়ে উঠেছে তুরস্কের প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত ১৭ বছর বয়সী মরিয়ম নামের এক মেয়ের ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মরিয়মকে কে ধর্ষণ করেছে কোন একটা অজানা কারণে সে ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে চায় না। গ্রামের প্রধানরা, তার পরিবার এবং গ্রামের অন্যান্য মানুষ মনে করে এই ঘটনার মধ্যমে মরিয়ম তাদের গ্রামের সম্মান নষ্ট করেছে, সুতরাং তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে।
শুধুমাত্র তার মৃত্যুই পারে গ্রাম এবং তার পরিবারের হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনতে। মরিয়মকে আত্মহত্যা করতে বলা হলেও সে আত্মহত্যা করতে যেয়েও ব্যর্থ হয়।কিন্তু তাকে তো মরতেই হবে, তাই মরিয়মের চাচা যে ওই গ্রামের গ্রাম প্রধান সে তার ইস্তাম্বুলে বসবাসরত ছেলে জেমালকে গ্রামে ডেকে আনে।তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইস্তাম্বুলে যাবার পথে কোনো এক অজ্ঞাত স্থানে মরিয়মকে হত্যা করে ফেলে রাখার জন্য। আর এই জন্য হাসানকে টাকা এবং একটি পিস্তলও সাথে দিয়ে দেওয়া হয়।
মরিয়মকে নিয়ে জেমাল ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।সেখানে নিয়ে সে মরিয়মকে হত্যার ঠিক আগ মুহূর্তে সে তার মত পাল্টায় এবং সে মরিয়মকে হত্যা না করে তাকে নিয়ে সে অন্যত্র চলে যায়। চলতি পথে তার সাথে দেখা হয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষকের।যে জীবন এবং পরিবারের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে তার ব্যক্তিগত বোটে নিয়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ায়। একসময় জেমাল এবং মরিয়ম ওই শিক্ষকের সাথে তার বোটের সঙ্গী হয়।এদিকে জামালের পিতা একসময় বুঝতে পারে তার ছেলে মরিয়মকে হত্যা করেনি। তাই সে নিজেই দলবল নিয়ে মরিয়মকে খুঁজতে বের হয়। আর এভাবে মুভির বাকি গল্প এগিয়ে যেতে থাকে.....
🔶মন্তব্য: অসম্ভব সুন্দর একটি ড্রামা মুভি। খুব পরিচ্ছন্ন এবং শান্ত একটি মুভি। পুরো মুভি জোরে কেমন যেন একটা অদ্ভুত নীরবতা ছিল।ঠিক মরিয়মর মতো চুপচাপ ও শান্ত, কিন্তু ভেতরে শুধু বেদনা।
মুভির তিনটি জিনিস আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে- এক. মুভিতে অভিনয় করা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের সেরা অভিনয় করছে বলে আমার মনে হয়েছে। বিশেষ করে মরিয়মের অভিনয়ের কথা না বললেই নয়।একজন নির্যাতিতার চরিত্রে তার মনের চাপা কষ্ট হাসির আড়ালে লুকিয়ে রাখার যে চেষ্টা সেটা ছিল সত্যিই অসাধারণ।দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল মুভি সিনেমাটোগ্রাফি এবং কালার গ্রেডিং। সিনেমাটোগ্রাফি ছিল খুবই সুন্দর,যেটা অন্য অনেক তুর্কি মুভিতে দেখা যায়।
তবে মুভির কালার গ্রেডিং আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। কেমন যেন ধূসর.... খুব রঙ্গিন না আবার সাদাকালোও না।অনেকটা সম্ভবত মরিয়মের জীবনের মত। রঙ থেকেও যার রঙ প্রায় বিলীন,যার চোখে অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু তা আজ সব বিবর্ণ। মুভির তৃতীয় ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, এক কথায় অসাধারণ।চোখ বন্ধ করে শুনার মত মিউজিক।কেমন যেন অদ্ভুত বেদনা মাখা একটি সুর। আমার খুবই পছন্দের একটি মিউজিক এটি, মাঝে মাঝেই ইউটিউব থেকে মুভির এই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটি শুনি।
Imdb-7.6
Metascore-71
Director: Abdullah Oguz
Writers: Elif Ayan, Zülfü Livaneli (novel)
Genres: Drama
গল্প:Bliss 2007 সালে মুক্তি পাওয়া একটি তুর্কি ড্রামা মুভি। মুভিটি একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।এই মুভির গল্প গড়ে উঠেছে তুরস্কের প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত ১৭ বছর বয়সী মরিয়ম নামের এক মেয়ের ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মরিয়মকে কে ধর্ষণ করেছে কোন একটা অজানা কারণে সে ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে চায় না। গ্রামের প্রধানরা, তার পরিবার এবং গ্রামের অন্যান্য মানুষ মনে করে এই ঘটনার মধ্যমে মরিয়ম তাদের গ্রামের সম্মান নষ্ট করেছে, সুতরাং তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে।
শুধুমাত্র তার মৃত্যুই পারে গ্রাম এবং তার পরিবারের হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনতে। মরিয়মকে আত্মহত্যা করতে বলা হলেও সে আত্মহত্যা করতে যেয়েও ব্যর্থ হয়।কিন্তু তাকে তো মরতেই হবে, তাই মরিয়মের চাচা যে ওই গ্রামের গ্রাম প্রধান সে তার ইস্তাম্বুলে বসবাসরত ছেলে জেমালকে গ্রামে ডেকে আনে।তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইস্তাম্বুলে যাবার পথে কোনো এক অজ্ঞাত স্থানে মরিয়মকে হত্যা করে ফেলে রাখার জন্য। আর এই জন্য হাসানকে টাকা এবং একটি পিস্তলও সাথে দিয়ে দেওয়া হয়।
মরিয়মকে নিয়ে জেমাল ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।সেখানে নিয়ে সে মরিয়মকে হত্যার ঠিক আগ মুহূর্তে সে তার মত পাল্টায় এবং সে মরিয়মকে হত্যা না করে তাকে নিয়ে সে অন্যত্র চলে যায়। চলতি পথে তার সাথে দেখা হয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষকের।যে জীবন এবং পরিবারের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে তার ব্যক্তিগত বোটে নিয়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ায়। একসময় জেমাল এবং মরিয়ম ওই শিক্ষকের সাথে তার বোটের সঙ্গী হয়।এদিকে জামালের পিতা একসময় বুঝতে পারে তার ছেলে মরিয়মকে হত্যা করেনি। তাই সে নিজেই দলবল নিয়ে মরিয়মকে খুঁজতে বের হয়। আর এভাবে মুভির বাকি গল্প এগিয়ে যেতে থাকে.....
🔶মন্তব্য: অসম্ভব সুন্দর একটি ড্রামা মুভি। খুব পরিচ্ছন্ন এবং শান্ত একটি মুভি। পুরো মুভি জোরে কেমন যেন একটা অদ্ভুত নীরবতা ছিল।ঠিক মরিয়মর মতো চুপচাপ ও শান্ত, কিন্তু ভেতরে শুধু বেদনা।
মুভির তিনটি জিনিস আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে- এক. মুভিতে অভিনয় করা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের সেরা অভিনয় করছে বলে আমার মনে হয়েছে। বিশেষ করে মরিয়মের অভিনয়ের কথা না বললেই নয়।একজন নির্যাতিতার চরিত্রে তার মনের চাপা কষ্ট হাসির আড়ালে লুকিয়ে রাখার যে চেষ্টা সেটা ছিল সত্যিই অসাধারণ।দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল মুভি সিনেমাটোগ্রাফি এবং কালার গ্রেডিং। সিনেমাটোগ্রাফি ছিল খুবই সুন্দর,যেটা অন্য অনেক তুর্কি মুভিতে দেখা যায়।
তবে মুভির কালার গ্রেডিং আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। কেমন যেন ধূসর.... খুব রঙ্গিন না আবার সাদাকালোও না।অনেকটা সম্ভবত মরিয়মের জীবনের মত। রঙ থেকেও যার রঙ প্রায় বিলীন,যার চোখে অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু তা আজ সব বিবর্ণ। মুভির তৃতীয় ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, এক কথায় অসাধারণ।চোখ বন্ধ করে শুনার মত মিউজিক।কেমন যেন অদ্ভুত বেদনা মাখা একটি সুর। আমার খুবই পছন্দের একটি মিউজিক এটি, মাঝে মাঝেই ইউটিউব থেকে মুভির এই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটি শুনি।
Imdb-7.6
Metascore-71
Director: Abdullah Oguz
Writers: Elif Ayan, Zülfü Livaneli (novel)
Genres: Drama
অসাধারণ রিভিউ ছিলো ভাই :)।
উত্তরমুছুনকিন্তু লিংকটি কাজ করছে না !!
অতিরিক্ত একটি স্পেস দেয়া আছে। ওটা ডিলিট করে নেন।
উত্তরমুছুনদয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।