প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে বর্তমানে মুভি ডাউনলোড খুবই সহজ। কিন্তু আমি যখন ৮-১০ বছর আগে ডাউনলোড করে মুভি দেখা শুরু করি তখন বিষয়টি এতো সহজ ছিল না। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্দিষ্ট করে বললে ফেসবুক এতো জনপ্রিয় ছিল না, সুতরাং মুভি নিয়ে আলাপ আলোচনা করার সুযোগও তেমন একটা ছিল না।তাই ভালো মুভির সন্ধান পাওয়াও ছিল খুব কঠিন।মুভি ডাউনলোড করাও ছিল এরকমই কঠিন কাজ। তখন ব্রডব্যান্ড সহজলভ্য ছিল না আবার থ্রিজিও ছিল না।সুতরাং ডাউনলোডের একমাত্র ভরসা ছিল টুজি ইন্টারনেট।৩০ দিন মেয়াদের ১জিবি ডাটা তখন কিনতে হতো ভ্যাট সহ ৩৬৫ টাকা দিয়ে। এভাবে মুভি সবসময় ডাউনলোড করা ছিল প্রায় অসম্ভব। কারণ ১জিবি ডাটা দিয়ে বড়জোর দুটি মুভি ডাউনলোড করা যেত।তাই আমি সব সময় ডাউনলোড করার সহজ রাস্তা খুঁজতাম। আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রামীনের রাতের একটা প্যাকেজ ব্যবহার করতাম, আনলিমিটেড ইন্টারনেট (রাত ১২ থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত, ৫ জিবির পর ফেয়ার ইউজ পলিসি) সম্ভবত ৩৫০ টাকায়।এই প্যাকেজ দিয়ে খুব বেছে এবং হিসেব করে মুভি ডাউনলোড করতাম। ছাত্র অবস্থায় ইন্টারনেটের পেছনে খুব বেশি টাকা খরচ করার সুযোগ ছিল না।
ওই প্যাকেজ ব্যবহার করে প্রায় রাতেই মুভি ডাউনলোড দিয়ে ঘুমিয়ে যেতাম। ভালো নেটওয়ার্ক না পেলে বেশি স্পিড পাওয়া যেত না, তাই বেশি স্পিডের আশায় রুমের উত্তরের জানলাটা সারারাত খোলা রাখতে হতো। শীতের দিনে খুব কষ্ট হতো। কারণ কম্পিউটার ছিল জানলার পাশে (ভালো নেটওয়ার্কের আশায়) এবং জানলা বরাবর ছিল আমার বিছানা। শীতের দিনে উত্তর থেকে আসা হিম শীতল বাতাস জানলা দিয়ে আমার রুমে বয়ে যেত। অবশ্য মুভি দেখার নেশা কাছে ওই শীতল বাতাস কখনোই পাত্তা পায়নি। জানলার পাশে কম্পিউটার বসিয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পেলেও অনেক সময় ভালো স্পীড পেতাম না। মাঝে মাঝে মেজাজ খুব খারাপ হয়ে যেত। একবার তো অনেক চেষ্টা করেও যখন ভালো স্পীড পাচ্ছিলাম না তখন রাগ করে লাথি দিয়ে নতুন কেনা একটা মডেমই ভেঙ্গে ফেলেছি। স্পিড কম পাওয়ার কারণে গ্রামীনফোনে বহু ফোন দিয়েছি ও মেইল পাঠিয়েছি।
যাইহোক, সকাল ৮ টার মধ্যে ৭০০-৮০০ এমবি ডাউনলোড হয়ে যেত।ডাটার সীমাবদ্ধতার কারণে সবসময় ছোট সাইজের মুভি ডাউনলোড করার চেষ্টা করতাম। মাঝে ঘুম ভেঙ্গে গেল উঠে চেক করে দেখতাম ঠিকঠাক মতো ডাউনলোড হচ্ছে কিনা। অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম কম্পিউটার বন্ধ,মানে বিদ্যুৎ চলে গেছে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়া মানে সারারাতের কষ্ট বিফলে গেছে, ডাউনলোড শেষ হয়নি। তখন এতো কষ্ট করে ডাউনলোড করে সেই মুভি দেখার আনন্দ কিন্তু অন্যরকম ছিল,যা এখন আর খুঁজে পাই না।
ওই প্যাকেজ ব্যবহার করে প্রায় রাতেই মুভি ডাউনলোড দিয়ে ঘুমিয়ে যেতাম। ভালো নেটওয়ার্ক না পেলে বেশি স্পিড পাওয়া যেত না, তাই বেশি স্পিডের আশায় রুমের উত্তরের জানলাটা সারারাত খোলা রাখতে হতো। শীতের দিনে খুব কষ্ট হতো। কারণ কম্পিউটার ছিল জানলার পাশে (ভালো নেটওয়ার্কের আশায়) এবং জানলা বরাবর ছিল আমার বিছানা। শীতের দিনে উত্তর থেকে আসা হিম শীতল বাতাস জানলা দিয়ে আমার রুমে বয়ে যেত। অবশ্য মুভি দেখার নেশা কাছে ওই শীতল বাতাস কখনোই পাত্তা পায়নি। জানলার পাশে কম্পিউটার বসিয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পেলেও অনেক সময় ভালো স্পীড পেতাম না। মাঝে মাঝে মেজাজ খুব খারাপ হয়ে যেত। একবার তো অনেক চেষ্টা করেও যখন ভালো স্পীড পাচ্ছিলাম না তখন রাগ করে লাথি দিয়ে নতুন কেনা একটা মডেমই ভেঙ্গে ফেলেছি। স্পিড কম পাওয়ার কারণে গ্রামীনফোনে বহু ফোন দিয়েছি ও মেইল পাঠিয়েছি।
যাইহোক, সকাল ৮ টার মধ্যে ৭০০-৮০০ এমবি ডাউনলোড হয়ে যেত।ডাটার সীমাবদ্ধতার কারণে সবসময় ছোট সাইজের মুভি ডাউনলোড করার চেষ্টা করতাম। মাঝে ঘুম ভেঙ্গে গেল উঠে চেক করে দেখতাম ঠিকঠাক মতো ডাউনলোড হচ্ছে কিনা। অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম কম্পিউটার বন্ধ,মানে বিদ্যুৎ চলে গেছে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়া মানে সারারাতের কষ্ট বিফলে গেছে, ডাউনলোড শেষ হয়নি। তখন এতো কষ্ট করে ডাউনলোড করে সেই মুভি দেখার আনন্দ কিন্তু অন্যরকম ছিল,যা এখন আর খুঁজে পাই না।
দয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।