চারটি মুভির মধ্যে ২ টি মুভি কলকাতার বাংলা, একটি তামিল এবং একটি হিন্দি। কলকাতার বাংলা মুভি আমার খুব একটা দেখা হয় না, দুটি মুভিতেই রাইমা সেন ছিল, আমার রাইমা সেনকে ভালো লাগে, উনার জন্যই মূলতঃ মুভি দুটি দেখা।আর হিন্দি মুভিটা দেখা কারণ হচ্ছে এর প্রধান চরিত্রে ছিল দুলকার সালমান।
১.Love Today: এটি মূলতঃ একটি তামিল মুভি। মুভিতে বর্তমান সময়ে ভালোবাসা কেমন হয়, ছেলে মেয়েরা রিলেশনের প্রতি বা একে অপরের প্রতি কতটা বিশ্বস্ত সেটা দেখানো হয়েছে। আমি যদি আরো স্পস্ট করে তাহলে, বর্তমানে রিলেশনশিপে বেশিরভাগ মানুষ যে একজনকে নিয়ে বা একজনের সাথে কথা বলে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না সেটাই দেখানো হয়েছে।
এক মেয়ে এবং এক ছেলে একে অপরকে ভালবাসে। একদিন মেয়েটি তার বাবার কাছে ধরা পড়ে যায়।এরপর মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে তাদের বাসায় ডেকে আনে। মেয়েটির বাবা ছেলে মেয়ে উভয়কে একটা শর্ত দেয়, শর্তটি হলো, একদিন ছেলেকে মেয়ের মোবাইল এবং মেয়েকে ছেলের মোবাইল ইউজ করতে হবে।যদি তারা এই শর্তে রাজি থাকে তাহলে সে বিয়ে মেনে নেবে। ছেলে মেয়ে দুজনই বিপদে পড়ে যায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি হয়। সেই মূহূর্তেই ছেলেটা নিজের মোবাইল মেয়েকে দিয়ে মেয়ে মোবাইল নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। দুজনেই খুব চিন্তিয় পড়ে যায়, প্রথমে কেউ কারো মোবাইলের লক খুলতে চায় না।মেয়েটা ছেলেকে ফোন করে বলে তুমিও আমার ফোনে হাত দিবা না, আমিও তোমার ফোনে হাত দিবো না। কিন্তু ছেলের বন্ধুরা ছেলে বলে,তর না হয় ভয় পাওয়ার কারণ আছে,তর গার্লফ্রেন্ড কেন ভয় পাচ্ছে? ছেলেটা তখন ভাবে "আসলেই তো!!!"
তারপর তারা একে অপরের মোবাইল ইউজ করা শুরু করে, এবং এরপর তারা বুঝতে পারে কে আসলে কার প্রতি কতটা বিশ্বস্ত... একজনকের অগোচরে অপরজন কি করে চলছিলো।
মেয়ের এক ফেসবুকে পরিচিত ছেলে ফ্রেন্ড আছে। তার সাথে মেয়েটা সবসময় কথা বলে, মেয়েটার রিলেশনশিপের সবকিছু সে ওই ফ্রেন্ডের সাথে শেয়ার করে।ওই ফ্রেন্ডটা আবার মেয়েটা ভালোবাসে, প্রেমের প্রস্তাবও দিছিলো।।। কিন্তু মেয়েটা না করে দেয়, তবে মেয়েটা এমন ভাবে না করে যাতে ছেলেটা কষ্ট না পায়।মানে মেয়েটা এই ছেলেকেও তার সাথে রাখতে চাচ্ছে, কেন? ইমোশনাল সাপোর্ট দেয়ার জন্য। তো এই ফ্রেন্ড কে মেয়েটা তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, "ভাইয়ের মতো বলে।"
মেয়েটা যখন ধরা পড়ে যায় তখন তার বয়ফ্রেন্ড জিগ্গেস করে, "তোমার ভাই কিভাবে তোমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়? আবার একদিন দেখলাম সে তোমার পেটের দিকে তাকিয়ে আছে, কেমনে সম্ভব এইগুলো?" কেমনে সম্ভব কে জানে! তারপরও মেয়েদের এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ছেলে বন্ধু রাখা লাগবে। যাইহোক মেয়েটার বয়ফ্রেন্ডও যে ভালো তা না,সেও অনেক আকাম করে বেড়ায়, সেইগুলো মেয়েটা ধরে ফেলে।
এটা একটি মাস্ট ওয়াচ মুভি।
২. মনচোরা: মনচোরা মূলতঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। কলকাতার এক জ্যোতিষীর বাড়িতে এক রাতে চোর আসে,ওই বাড়িতে কয়েক শতাব্দীর পুরনো একটি রত্ন রয়েছে।তো চোর আসার বিষয়টি ওই বাড়ির মানুষ জেনে যায়, চোরকে ধরার জন্য পুরো বাড়ি তারা খুঁজতে থাকে।চোর গিয়ে পালায় রাইমা সেনের ঘরের আলমারিতে।এক পর্যায়ে রাইমা সেন চোরকে ধরে ফেললে চোর জানায় সে আসলে অনেকটা বাধ্য হয়েই চুরি করে, তবে একটা চাকুরী পেলে সে আর এই কাজ করবে না। শুনেছি সুন্দরী মেয়েদের মন নাকি অনেক নরম হয়। চোরের কথা শুনে রাইমা সেনের মন গলে যায়,সে চোরকে বুদ্ধি দিয়ে তার দাদুকে কনভিন্স করে তাদের বাড়ির কেয়ারটেকারের চাকরীর ব্যবস্থা করে দেয়।পরের দিন থেকে চোর কেয়ারটেকার হিসেবে রাইমা সেনের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে।।। এবং এই বাড়িতে থাকতে থাকতে চোর রাইমা সেনের মন চুরি করে ফেলে।।।
জীবনে প্রথম চোর না হওয়ার জন্য আফসোস হয়েছে। আহারে এমন একটা বাড়িতে চুরি করতে গেলে ভালোই হতো।।। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে একটা চাকুরী পেতাম, আবার ওই বাড়িতে থাকতে থাকতে ওই বাড়ির মেয়ের সাথে প্রেমও করতে পারতাম।
খুবই পরিচ্ছন্ন একটি মুভি। মুভির অভিনীত চরিত্রের সংখ্যা খুব অল্প। তারপরও মুভিটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। রাইমা সেনের অভিনয় আমার সবসময়ই ভালো লাগে,এই মুভিতেও ভালো লেগেছে। কাজল কালো চোখের শাড়ি পরিহিত রাইমা সেনকে দেখলে মনটা প্রশান্ত হয়ে যায়।
৩. Chup:The revenge of an Artist.এটা দুলকার সালমান অভিনীত একটি থ্রিলারধর্মী হিন্দি মুভি।
হঠাৎ করে বোম্বাই শহরে একের পর এক ফিল্ম ক্রিটিকস খু ন হতে শুরু করে.. খুবই বিভ* ৎস ভাবে খু ন করা হয়। বোম্বাই পুলিশ তন্ন তন্ন করে খুঁজে থাকে খু নিকে।
মুভিটি আমার ভালো লেগেছে। তবে খু ন কে করে সেটা আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল।
৪.KAYA: The Mystery Unfolds: এটি একটি হররধর্মী মুভি।এক বিখ্যাত পরিচালক তার নতুন মুভির শুটিং করতে তার ক্রো সহ শিলিগুড়ি যায়।এই পরিচালকের আবার মেয়েদের সাথে অনৈতিক কাজ করার অভ্যাস রয়েছে।তো শিলিগুড়ি আসার পর তাদের ডাকবাংলোতে হঠাৎ ভৌতিক এক মেয়ের আগমন ঘটে।যে মেয়েটি ছিল এই পরিচালকের সাবেক প্রেমিকা এবং সহকারী পরিচালক।এই পরিচালক তার প্রথম মুভি পাওয়া জন্য প্রযোজকের কাছে তার প্রেমিকা বা সহকারী পরিচালকে পাঠিয়েছিল। মেয়েটা অনেকটা বাধ্য হয়ে তার প্রেমিকের কথায় প্রযোজকের সঙ্গে শুয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিব্র অপরাধ এবং প্রেমিকের দ্বারা সে যে ব্যবহার হয়েছে এইসব ভেবে সে আত্ম হ ত্যা করে। পরবর্তীতে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তার আত্মা আবার ফিরে আসে।
এই মুভিতেও রাইমা সেন ছিল। তবে মুভিটি আমার কাছে ভালো লাগেনি। মুভির গল্পটা খুব সাধারণ মানের ছিল।
#IndianMovie #TamilMovie
দয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।