Shooting Dogs (2005)

🔴রুয়ান্ডার গণহত্যা নিয়ে একটি হৃদয়স্পর্শী মুভি
মুভিটি আমেরিকায় মুক্তি পায় Beyond the Gates নামে। রুয়ান্ডার গণহত্যা নিয়ে আরো‌ও একটি মাস্টারপিস মুভি হচ্ছে Hotel Rwanda. তবে Shooting Dogs ওই মুভির চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম।এর কারণটা হচ্ছে, যে স্থানে গণহত্যাটি (মুভির গল্পের)চালানো হয়েছিল সেই স্থানগুলোতে মুভির শুটিং করা হয়েছে এবং গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া অনেক মানুষকে এই মুভির পার্শ্ব চরিত্রে এবং মুভি নির্মাণের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

গণহত্যার সময়ে রুয়ান্ডায় অবস্থান করা বিবিসির প্রযোজক David Belton এর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মুভিটি নির্মিত হয়েছে।তিনি এই মুভির একজন
প্রযোজক এবং সরকারী স্ক্রিপ্ট রাইটার।
.
.
***********⭕spoiler alert⭕***********
.
.
⭕Storyline:আগে থেকেই হুতু এবং তুতসসিদের মধ্যে চলে আসা উত্তেজনা গণহত্যায় রূপ নেয় ৬ এপ্রিল ১৯৯৪ তে, যখন রুয়ান্ডার হুতু প্রেসিডেন্ট বিমান বিস্ফোরণে নিহত হয়। এই হত্যার জন্য হুতুরা তুতসিদের দায়ী করে এবং এরপর সারাদেশে শুরু হয় ইতিহাস সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা।

বাঁচার তাগিদে প্রায় ২৫০০ তুতসি আশ্রয় নেয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ক্যাম্পে, যার দ্বায়িত্বে ছিল বেলজিয়ামের সৈন্যরা।ক‍্যাম্পটি ছিল মুলত École Technique Officielle (ETO) নামের একটি স্কুলে। যেখানে একটি ক্যাথলিক চার্চও ছিল।
এই স্কুলের ইংরেজী শিক্ষক এবং চার্চের ধর্মযাজক দুইজনই ছিল ইউরোপিয়ান।

সৈন্যরা প্রথমে ক্যাম্পে তুতসিদের প্রবেশে বাধা দিলেও ধর্মযাজকের জোরাজুরিতে ক্যাম্পে তাদের প্রবেশ করতে দেয়। তুতসিরা ক্যাম্পে প্রবেশের পর হাজার হাজার হুতু মিলিশিয়া ক্যাম্পের চারপাশ ঘিরে রাখে। কোন তুতসি ক্যাম্প থেকে বের হলে সাথে সাথেই তাকে হত্যা করে।আর এই সবকিছুই নিরবে চেয়ে চেয়ে দেখে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্বে থাকা বেলজিয়ামের সৈন্যরা। তারা কোনো অ্যাকশনে যেতে পারে না কারণ তাদের কোনো ধরনের অ্যাকশনে না যাওয়ার নির্দেশ আছে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেরা আক্রান্ত হয়।

পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও খারাপ হতে থাকলে ক্যাম্পে আটকে পড়া ইউরোপিয়ানেদর নিয়ে সব সৈন্যরা ঐ ক্যাম্প থেকে চলে যায়।যার ফলস্বরূপ ঐ ক্যাম্পে থাকা প্রায় ২৫০০ জন তুতসির সবাইকে পরে হত্যা করা হয়।থেকে যাওয়া ধর্মযাজকেও হত্যা করা হয়, কিছু তুতসিকে বাচাতে সাহায্য করার সময়।


⭕মুভির নাম Shooting Dogs রাখার কারণ হচ্ছে UN ক্যাম্পের বাইরে তুতসিদের লাশগুলো যখন কুকুর খায় তখন কুকুরদের তাড়ানোর জন্য সৈন্যরা গুলি করতে চায়। ধর্মযাজক ক্রিস্টোফার তখন সৈন্যদের বলে-
Were they shooting at you?
This is according to your mandate, if you are going to shoot the dogs
then the dogs must have been shooting at you first.

⭕৭ই এপ্রিল থেকে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত মোট ১০০ দিন চলা এই গণহত্যায় প্রায়ই ৮ থেকে ১০ লক্ষ লোক নিহত হয়।যেখান থেকে রক্ষা পায়নি গর্ভবতী মা, সদ্য জন্ম নেয়ে শিশু থেকে মৃত্যু পথযাত্রী বৃদ্ধ।মুভি দেখলেই বুঝা যায় কতটা নৃশংস এবং বীভৎস ছিল এই হত্যাকাণ্ড।
একটি অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডটি যখন চলতে থাকে তখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী রুয়ান্ডায় অবস্থান করছিল। তাদের চোখের সামনে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা হয়, অথচ তাদের কোন ভূমিকায়ই দেখতে পাওয়া যায়নি (মুভি দেখে অন্তত তাই মনে হয়ছে)। তাহলে শান্তিরক্ষার নামে এই বাহিনীর কি প্রয়োজন ছিল!!!



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.