The Kingdom of Solomon (2010)-Iran

সুলায়মান (আঃ) সম্পের্কে কিছু তথ্য: তিনি ছিলেন একজন নবী এবং বনী ইসরালীদের শাসক। তাঁর জন্ম আনুমানিক ৯৯০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এবং মৃত্যু আনুমানিক ৯৩১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে(বয়স ৫৯) এবং তাঁর রাজত্ব কাল ছিল প্রায় ৪০ বছর যা ৯৭০ থেকে ৯৩১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী। তিনি ছিলেন হযরত দাউদ (আঃ)-এর পুত্র। কথিত আছে, হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং আল্লাহ তাআলার মহিমা তুলে ধরতে সেখানে পুনর্নির্মাণ করে গড়ে তোলেন মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ ।পবিত্র কুরআনে তাঁর সম্পর্কে ৭টি সূরায় ৫১টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।আল্লাহ তাকে অনেক ক্ষমতা দান করেন, যা অন্য কোন নবীকে দান করেননি।পশুপাখি, জ্বিন বায়ু ইত্যাদিকে শাসন বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হযরত সোলায়মান (আ) কে আল্লাহর দেওয়া তেমনি কিছু অলৌকিক শক্তি।

এজন্য আল্লাহর হুকুমে তিনি আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করেছিলেন। যেমন আল্লাহ বলেন,
‘সুলায়মান বলল, হে আমার পালনকর্তা! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে এমন এক সাম্রাজ্য দান কর, যা আমার পরে আর কেউ যেন না পায়। নিশ্চয়ই তুমি মহান দাতা’ (ছোয়াদ ৩৮/৩৫)।

🔴সুলায়মান (আঃ)মৃত্যু: বায়তুল মোকাদ্দাসের নির্মান কাজ হযরত দাউদ (আঃ) শুরু করেছিলেন এবং হযরত সোলায়মান (আঃ) তা শেষ করেন। তাঁর মৃত্যুর পুর্বে কিছু কাজ অবশিষ্ট ছিল। কাজটি করার জন্য অবাধ্যতা প্রবণ জিনদের উপর দায়িত্বে ন্যস্ত ছিল। তারা হযরত সোলায়মান (আঃ) এর ভয়ে কাজ করত। তারা তাঁর মৃত্যু সংবাদ অবগত হতে পারলে তৎক্ষণাৎ কাজ ছেড়ে দিত। ফলে নির্মাণ অসমাপ্ত থেকে যেত। হযরত সোলায়মান (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে এর ব্যবস্থা এই করলেন যে, মৃত্যু পূর্বক্ষণে তিনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে তার মেহরাবে প্রবেশ করলেন। মেহরাবটি স্বচ্ছ কাঁচের নির্মিত ছিল। বাইরে থেকে ভিতরের সব কিছু দেখা যেত, তিনি নিয়মানুযায়ী এবাদতের উদ্দেশ্যে লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন যাতে আত্মা বের হয়ে যাওয়ার পরও দেহ লাঠির সাহায্যে স্বস্থানে অনড় থাকে। তিনি মারা গেলেন। কিন্তু লাঠির উপর ভর করে তাঁর দেহ অনড় থাকায় বাইরে থেকে মনে হত তিনি এবাদতে রয়েছেন। জিনরা জীবিত মনে করে কাজ করে যেতে লাগল। অবশেষে এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে বাইতুল মোকাদ্দাসের নির্মাণ কাজও সমাপ্ত হয়ে গেল। হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর লাঠিতে আল্লাহ তায়ালা উইপোকা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কোরআন পাকে একে ‘দাব্বাতুল আরদ ’ বলা হয়েছে। উইপোকা ভিতরে ভিতরে লাঠি খেয়ে ফেলল। লাঠির ভর নেয়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে সোলায়মান (আঃ) এর দেহ মাটিতে পড়ে গেল। তখন জিনেরা জানতে পারল তার মৃত্যু হয়ে গেছে।

🔴Storyline:হযরত সুলায়মান (আঃ) একসময় পূর্বাভাস পায় যে শয়তান এবং জিন পৃথিবীর মানুষের উপর আক্রমণ চালাবে। তাই তিনি বনি ইজরাইলি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে হামলা প্রতিহত করার জন্য সহযোগিতা চান এবং সকলকে সচেতন করার জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু সুদখোর এবং অত্যাচারী বনি ইসরাইলীরা নেতারা তার কথা কর্ণপাত করেনি বরং তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করেন।

তারা হযরত সুলায়মান (আঃ) কে হত্যার জন্য এক জাদুকর এর কাছে যান জাদুর মাধ্যমে হযরত সুলায়মান (আঃ) কে হত্যার চেষ্টা করেন তবে সোলায়মান (আঃ) পরিবর্তে তার স্ত্রী মারা যান।

এদিকে শয়তান এবং জিনরা সারা দেশে আক্রমণ করে। শুরু হয় বিশৃঙ্খলা, গোলযোগ, হত্যা, লুটপাট এবং অন্যদিকে বনি ইসরাইলী নেতারা সুলায়মান (আঃ) অনুপস্থিতে তার প্রসাদে আক্রমণ করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য।

মন্তব্য; মুভিটিতে হযরত সুলায়মান (আঃ) সাম্রাজ্য পরিচালনার খুব ছোট একটি সময়কে চিত্রায়ন করা হয়েছে। মুভিটি পবিত্র কুরআনে  বর্ণনার আলোকে নির্মাণ করা হয়েছে তাই এর কাহিনী সম্পূর্ণ অবিকৃত এবং সত্য।

এটি ইরানের প্রথম সবচেয়ে ব্যয়বহুল মুভি যা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার এবং এটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে নয় মাস যদিও টাকার অভাবে প্রায় পাঁচ মাস এর কাজ বন্ধ ছিল। তবে ৫ মিলিয়ন ডলারের মুভিটি আয় করতে পেরেছে মাত্র ৩ মিলিয়ন ডলার।

ছবিটি নির্মাণ করতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা ইরনে প্রথম। মুভির বিশাল বড় সেট,সেট ডিজাইন ,cinematography , কস্টিউম ডিজাইন কোন কিছুই হলিউডের মুভির থেকে কম না। তবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে এর cinematography

🔴নোট:মুভিটি হিন্দি ডাবসহ Youtube এ পাওয়া যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.