Trade (2007)

মেক্সিকোর এক গরিব পরিবারে জন্ম নেয়া আদ্রিয়ানার ১৩ তম জন্মদিনে তার ভাই জর্জ তাকে একটি সাইকেল উপহার দেয়। জর্জের বয়স ১৭,সে মেক্সিকোতে আসা ট্যুরিস্টদের প্রতারিত করে টাকা উপার্জন করে। তাই তার মা জানে তার দেয়া সাইকেলটিও অবৈধ টাকায় দিয়ে কেনা। সেই জন্য তার মা আদ্রিয়ানাকে ঐ সাইকেল চালাতে নিষেধ করে দেয়। মায়ের নিষেধ সত্বেও আদ্রিয়ানা পরদিন সকালে  সবার অগোচরে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যায় এবং রাস্তা থেকে তাকে সেক্স  ট্রাফিকররা অপহরণ করে নিয়ে যায়।

কিডন্যাপ এর কথা জানতে পেরে জর্জ তার বোনকে  খুঁজতে শুরু করে। খুঁজ নিয়ে সে জানতে পারে তার বোনকে রাশিয়ানরা অপহরণ করেছে এবং তাকে আমেরিকায় নিয়ে যাবে।

সে এক সময় অপহরণকারীদের অনুসরণ করতে থাকে এবং দেখতে থাকে তার বোনকে কিভাবে হাত বদল করে মেক্সিকো সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সে এই সব কিছু দূর থেকে দেখলেও কিছুই করতে পারে না কারণ যাদের কাছে সে অভিযোগ করবে সেই পুলিশও এই অপহরণের সাথে জড়িত।

যাইহোক,জর্জ আদ্রিয়ানাকে উদ্ধারের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকে আর অন্যদিকে আদ্রিয়ানাকে অনলাইনে বিক্রির জন্য বিডিং চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কি জর্জ তার বোনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারে?

মুভির গল্পটি অনেক শক্তিশালী এবং অর্থবহ। এর গল্পটি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত আর্টিকেল sex slaves এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। মুভিতে sex slaves,মানব পাচার এবং শিশু অপহরণের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। এই মানব বাচারে শিকার মানুষদের কতটা নির্মম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় সেটা দেখানোই ছিল মুভির উদ্দেশ্য। তাই মুভিতে বিনোদনের চেয়ে এই দিকই গুরত্ব দেয়া হয়েছে বেশি।

মুভিতে অভিনয় করা সবার অভিনয় ছিল খুবই ভাল। বিশেষকরে আদ্রিয়ানা এবং জর্জের অভিনয় অসাধারণ। তবে জর্জের কথা না বললেই নয়,অসহায় এক ভাই তার বোনকে উদ্ধারের জন্য যে প্রানপন চেষ্টা করে সেটা ছিল মনে গেথে থাকার মতো।

মুভিটা আমি মাত্র একবার দেখেছি সেটাও অনেক বছর আগে কিন্তু তা সত্বেও এই মুভির কথা আমার মনে আছে।এর একটি কারণ হচ্ছে মুভিটি আমার অসম্ভব ভালো লেগেছিল। থ্রিলার মুভি যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য মাষ্ট সি একটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.