The Sinking of Van Der Wijck (2013)

Country:Indonesia
মুভিটি ১৯৩০ সালের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। পিতার মৃত্যুর পর জয়নুদ্দিন তার বাবার গ্রামের বাড়িতে যায় তার বাবার গ্রাম সম্পর্কে ভালো করে জানার জন্য। সেখানে গিয়ে তার সাথে দেখা হয় হাইয়াতি নামে ঐ গ্রামের এক মেয়ের । সে প্রথম দেখাতেই হাইয়াতির প্রেমে পড়ে।

হাইয়াতি একজন এতিম মেয়ে । সে তার ছোট ভাইয়ের সাথে তার চাচার কাছে থাকে। তার চাচা আবার ঐ গ্রামের, গ্রাম প্রধান। ধীরে ধীরে চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে হাইয়াতি এবং জয়নুদ্দিন এর মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হয়।

কিন্তু একসময় হাইয়াতির চাচা তাদের সম্পর্কের কথা জেনে যায় এবং জয়নুদ্দিন কে বাধ্য করে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে। জয়নুদ্দিন অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার । তবে যাওয়ার আগে তারা উভয়ই প্রতিজ্ঞা করে তারা একজন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করবে।

জয়নুদ্দিন অন্য জায়গায় চলে গেলেও তাদের মধ্যে  চিঠি আদান-প্রদানের অব্যাহত থাকে।

একদিন হাইয়াতি তার বান্ধবীর বাড়িতে যায় বেড়াতে যায় । তার বান্ধবীর মা হাইয়াতিকে আজিজের (বান্ধবীর ভাই) জন্য  জন্য পছন্দ করে এবং বিয়ের জন্য হাইয়াতির  চাচার কাছে প্রস্তাব পাঠায় অন্যদিকে জয়নুদ্দিনও চিঠির মাধ্যমে হাইয়াতিকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠায়।

গ্রামের মুরুব্বিরা বসে সিদ্ধান্ত নেয় যেহেতু আজিজের আর্থিক অবস্থা অনেক ভাল অন্যদিকে জয়নুদ্দিনের কিছুই নেই  সুতরাং আজিজেই  হাইয়াতির জন্য উপযুক্ত পাত্র । যদিও আজিজ একজন জুয়াড়ি ।হাইয়াতি গ্রামের মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়। আজিজের সাথে হাইয়াতির বিয়ে হয়ে যায়।



************spoiler alert************
জয়নুদ্দিন তার এক বন্ধুকে নিয়ে শহরে চলে যায় এবং আজিজও  হাইয়াতিকে নিয়ে কাজের প্রয়োজনে ঐ একই শহরে যায়। জয়নুদ্দিন সেখানে গিয়ে লেখা-লিখি শুরু করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সে অনেক বিখ্যাত লেখক হয়ে যায়। অন্যদিকে আজিজ জুয়া খেলতে খেলতে তার সব সম্পত্তি শেষ করে ফেলে এমনকি তার থাকার বাড়িটিও ।

আজিজ এক পর্যায়ে হাইয়াতিকে নিয়ে জয়নুদ্দিনের বাড়িতে উঠে। একদিন আজিজ  হাইয়াতিকে রেখে চাকরি খোঁজার জন্য অন্য শহরে চলে যায়  এবং কিছুদিন পর সে একটি চিঠি পাঠায়  হাইয়াতিকে যাতে বলে সে আর ফিরবে না হাইয়াতি যেন জয়নুদ্দিনকে বিয়ে করে। এর কয়দিন পর হাইয়াতি এবং জয়নুদ্দিন  জানতে পারে যে আজিজ আত্মহত্যা করেছে।


সব কিছুর জন্য হাইয়াতি জয়নুদ্দিনের কাছে ক্ষমা চায় কিন্তু জয়নুদ্দিন তাকে ক্ষমা করেনা , এমনকি বিয়েও করে না । তবে হাইয়াতিকে সে বলে এখন থেকে আমৃত্যু তার ব্যায়-ভার সেই বহন করবে।  হাইয়াতিকে  Van Der Wijck নামের একটি  ডাচ্ জাহাজে তুলে দেয় তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে যায় । হাইয়াতিকে  উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে সে হাসপাতালে মারা যায়।


আমার মন্তব্য : মুভিটি Runtime 2h 44 minutes যেটা আমার কাছে অনেক বড় মনে হয়েছে। মাঝে এসে ভাল-লাগেনি।তবে গল্পটি ভাল ছিল। মুভিটি একই নামের এক উপন্যাস থেকে নির্মিত।নায়ক ও নায়িকা ছিল দেখতে খুবই সুন্দর এবং মুভির cinematography ছিল অসাধারণ।
রোমান্টিক মুভি পছন্দ করলে আপনার জন্য এটা দেখা মাস্ট।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.