Country: Germany | France | Poland | China
Genres: Drama | History | War
The Captain (2017) মুভিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। মুভির গল্পটি গড়ে উঠেছে যুদ্ধ থেকে পালানো জার্মান এক সৈন্য Willi Herold কে নিয়ে। যে কিনা পরবর্তীতে বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে এক জার্মান ক্যাপ্টেন হয়ে ইতিহাসের ঘৃনিত একজন যুদ্ধাপরাধী হয়ে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ সপ্তাহের ঘটনা।Willi Herold যুদ্ধ থেকে পালিয়ে গেলে তাকে পিছন থেকে ধাওয়া করে জার্মান ক্যাপ্টেন সহ এক দল সৈন্য।সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে। এদিক সেদিক ঘুরতে ঘুরতে সে একদিন জার্মান বাহিনীর পরিত্যক্ত একটি গাড়ি এবং সে গাড়িতে থাকা এক ক্যাপ্টেনের ইউনিফর্ম ও তার পরিচয় পত্র খুঁজে পায়। সেই ইউনিফর্ম এবং পরিচয় পত্র কাজে লাগিয়ে সে কোন কিছু না ভেবেই হঠাৎ করেই জার্মান বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন হয়ে যায়। অবশ্য এটা করতে সে বাধ্য হয়। রাস্তা থেকে সে যুদ্ধ পালানো কিছু সৈন্যদের তার অনুসারী করে ফেলে।ঐ সৈন্যরা ভেবে নেয় Willi Herold আসলেই একজন ক্যাপ্টেন, সুতরাং তারা ক্যাপ্টেনের আদেশ মত চলতে থাকে।
এক সময় সে তার দলবল নিয়ে জার্মানির ভিতর এক বন্দিশিবিরে চলে আসে। এই বন্দিশিবিরে শুধুমাত্র যুদ্ধ থেকে পলায়নরত জার্মান সৈন্যদের রাখা হয়। ওই শিবিরে কর্মরত অন্যান্য জার্মান ক্যাপ্টেন এবং কর্মকর্তাদের Willi Herold বোঝাতে সক্ষম হয় যে তাকে সরাসরি হিটলার আদেশ দিয়েছে এখানকার বন্দিদের বিচার করার জন্য। এরপর সে ওই বন্দিশিবিরে বন্দিদের নির্বিচারে গুলি করে মারতে শুরু করে।
মুভিতে এই লোকটার কার্যকলাপ দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। সে নিজে একজন যুদ্ধ পলাতক জার্মান সৈন্য, যে কিনা বাঁচার তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়ে জার্মান অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করতে থাকে।
ভাবেছিলাম সে অন্য যুদ্ধ পলাতক সৈন্যদের সাহায্য করবে। অথচ সে উল্টো সবাইকে নির্বিচারে হত্যা করতে থাকে....
কঠিন পরিস্থিতিতে এই লোকটির চাতুরতা দেখে আমি বিস্মিত হয়ে যাই। তার ক্যাপ্টেনের পরিচয় যখন সনাক্তকরণ করা হচ্ছিল বা ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এরকম পরিস্থিতিতেও সে এতটুকু বিচলিত না হয়ে খুব দৃঢ়তার সাথে সে তা মোকাবেলা করে।
১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে Willi Herold কে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ১২০ জন মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ১৯৪৬ সালে তাকে এবং তার তার পাঁচজন সহযোগীসহ ফাঁসি দেওয়া হয়। এগুলো মুভিতে দেখানো হয়নি।
বিশ্ব যুদ্ধের মুভি আমার সবসময়ই অসম্ভব প্রিয়। এই মুভিটাও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এটা সাদাকালো মুভি হওয়াতেই মনে হয় আরো বেশি ভালো লেগেছে। Willi Herold এর ভূমিকায় Max Hubacher এর অভিনয় ছিল খুবই বাস্তব বাস্তবধর্মী। আমার কাছে এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি মাস্ট সি মুভি।
Genres: Drama | History | War
The Captain (2017) মুভিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। মুভির গল্পটি গড়ে উঠেছে যুদ্ধ থেকে পালানো জার্মান এক সৈন্য Willi Herold কে নিয়ে। যে কিনা পরবর্তীতে বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে এক জার্মান ক্যাপ্টেন হয়ে ইতিহাসের ঘৃনিত একজন যুদ্ধাপরাধী হয়ে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ সপ্তাহের ঘটনা।Willi Herold যুদ্ধ থেকে পালিয়ে গেলে তাকে পিছন থেকে ধাওয়া করে জার্মান ক্যাপ্টেন সহ এক দল সৈন্য।সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে। এদিক সেদিক ঘুরতে ঘুরতে সে একদিন জার্মান বাহিনীর পরিত্যক্ত একটি গাড়ি এবং সে গাড়িতে থাকা এক ক্যাপ্টেনের ইউনিফর্ম ও তার পরিচয় পত্র খুঁজে পায়। সেই ইউনিফর্ম এবং পরিচয় পত্র কাজে লাগিয়ে সে কোন কিছু না ভেবেই হঠাৎ করেই জার্মান বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন হয়ে যায়। অবশ্য এটা করতে সে বাধ্য হয়। রাস্তা থেকে সে যুদ্ধ পালানো কিছু সৈন্যদের তার অনুসারী করে ফেলে।ঐ সৈন্যরা ভেবে নেয় Willi Herold আসলেই একজন ক্যাপ্টেন, সুতরাং তারা ক্যাপ্টেনের আদেশ মত চলতে থাকে।
এক সময় সে তার দলবল নিয়ে জার্মানির ভিতর এক বন্দিশিবিরে চলে আসে। এই বন্দিশিবিরে শুধুমাত্র যুদ্ধ থেকে পলায়নরত জার্মান সৈন্যদের রাখা হয়। ওই শিবিরে কর্মরত অন্যান্য জার্মান ক্যাপ্টেন এবং কর্মকর্তাদের Willi Herold বোঝাতে সক্ষম হয় যে তাকে সরাসরি হিটলার আদেশ দিয়েছে এখানকার বন্দিদের বিচার করার জন্য। এরপর সে ওই বন্দিশিবিরে বন্দিদের নির্বিচারে গুলি করে মারতে শুরু করে।
মুভিতে এই লোকটার কার্যকলাপ দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। সে নিজে একজন যুদ্ধ পলাতক জার্মান সৈন্য, যে কিনা বাঁচার তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়ে জার্মান অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করতে থাকে।
ভাবেছিলাম সে অন্য যুদ্ধ পলাতক সৈন্যদের সাহায্য করবে। অথচ সে উল্টো সবাইকে নির্বিচারে হত্যা করতে থাকে....
কঠিন পরিস্থিতিতে এই লোকটির চাতুরতা দেখে আমি বিস্মিত হয়ে যাই। তার ক্যাপ্টেনের পরিচয় যখন সনাক্তকরণ করা হচ্ছিল বা ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এরকম পরিস্থিতিতেও সে এতটুকু বিচলিত না হয়ে খুব দৃঢ়তার সাথে সে তা মোকাবেলা করে।
১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে Willi Herold কে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ১২০ জন মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ১৯৪৬ সালে তাকে এবং তার তার পাঁচজন সহযোগীসহ ফাঁসি দেওয়া হয়। এগুলো মুভিতে দেখানো হয়নি।
বিশ্ব যুদ্ধের মুভি আমার সবসময়ই অসম্ভব প্রিয়। এই মুভিটাও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এটা সাদাকালো মুভি হওয়াতেই মনে হয় আরো বেশি ভালো লেগেছে। Willi Herold এর ভূমিকায় Max Hubacher এর অভিনয় ছিল খুবই বাস্তব বাস্তবধর্মী। আমার কাছে এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি মাস্ট সি মুভি।
দয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।