নার্ভাসনেস মানুষকে কতটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করতে পারে তার একটা প্রমাণ দেই:'বেশ মজার একটি ঘটনা' ☺️
যেহেতু আমি ছোটবেলা থেকে প্রচণ্ড ইন্ট্রোভার্ট, তাই অপরিচিত মানুষদের সাথে কথা বলতে গেলেই প্রচন্ড নার্ভাস হয়ে যাই।
অনার্সের কোন এক ইয়ারের ভাইভা চলছিলো। একসময় আমার ডাক আসলো। আমি ভাইভা বোর্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। ওদিকে তখন আমার হৃদপিণ্ড মনে হচ্ছিল বুক থেকে বেরিয়ে যাবে।এতো জোরে জোরে স্পন্দন হচ্ছিল।
ভাইভা বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্নের মাঝে একসময় আমাকে প্রশ্ন করা হলো; "উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের রাজধানীর নাম বলার জন্য" (এই ৩ দেশের উপর আমাদের কোর্স ছিল)।
প্রশ্ন শুনে মনে মনে হাসলাম, এই প্রশ্ন আমাকে করে!! এগুলো তো আমি স্কুলে ভর্তির আগেই জানি 😁😁
কিন্তু সমস্যা হয় উত্তর দিতে গিয়ে।উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীর নাম বলার পরে জাপানের রাজধানীর নাম কোনভাবেই আর মনে আসছিলো না। জাপানের বিভিন্ন শহর অলিগলি মনে মনে ঘুরে আসলাম কিন্তু রাজধানীর নাম আর কোন ভাবেই মনে করতে পারলাম না।
ওদিকে আমাকে নিয়ে পরীক্ষকেরা হাসাহাসি এবং ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতেছে।বলতেছে 'সারাদিন কি করো'? বই খুলে দেখছো কখনো?'পত্রিকা,ইন্টারনেট কখনো ব্যবহার করো না'?
আমি তাদের কিভাবে বুঝাই 'আমার জীবনের তিন ভাগের দুই ভাগ কেটেছে বই, পত্রিকা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করে'।
যেহেতু আমি জাপানের রাজধানীর নাম'ই বলতে পারিনি সুতরাং এই এক্সপ্লেনেশন তাদের কাছে খাটবে না। তাই অপমান অপদস্থের শিকার হয়ে রুম থেকে বের হয়ে চলে আসলাম।
রুম থেকে বের হওয়ার পর মূহুর্তেই শালার টোকিওর নাম মনে পড়ল।একবার মনে চাইছিল আবার গিয়ে বলে বলে আসি। আবার চিন্তা করলাম 'এটা করতে গেলে আমাকে ভাইভাতে ফেল দিয়ে দিবে'।
যেহেতু আমি ছোটবেলা থেকে প্রচণ্ড ইন্ট্রোভার্ট, তাই অপরিচিত মানুষদের সাথে কথা বলতে গেলেই প্রচন্ড নার্ভাস হয়ে যাই।
অনার্সের কোন এক ইয়ারের ভাইভা চলছিলো। একসময় আমার ডাক আসলো। আমি ভাইভা বোর্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। ওদিকে তখন আমার হৃদপিণ্ড মনে হচ্ছিল বুক থেকে বেরিয়ে যাবে।এতো জোরে জোরে স্পন্দন হচ্ছিল।
ভাইভা বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্নের মাঝে একসময় আমাকে প্রশ্ন করা হলো; "উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের রাজধানীর নাম বলার জন্য" (এই ৩ দেশের উপর আমাদের কোর্স ছিল)।
প্রশ্ন শুনে মনে মনে হাসলাম, এই প্রশ্ন আমাকে করে!! এগুলো তো আমি স্কুলে ভর্তির আগেই জানি 😁😁
কিন্তু সমস্যা হয় উত্তর দিতে গিয়ে।উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীর নাম বলার পরে জাপানের রাজধানীর নাম কোনভাবেই আর মনে আসছিলো না। জাপানের বিভিন্ন শহর অলিগলি মনে মনে ঘুরে আসলাম কিন্তু রাজধানীর নাম আর কোন ভাবেই মনে করতে পারলাম না।
ওদিকে আমাকে নিয়ে পরীক্ষকেরা হাসাহাসি এবং ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতেছে।বলতেছে 'সারাদিন কি করো'? বই খুলে দেখছো কখনো?'পত্রিকা,ইন্টারনেট কখনো ব্যবহার করো না'?
আমি তাদের কিভাবে বুঝাই 'আমার জীবনের তিন ভাগের দুই ভাগ কেটেছে বই, পত্রিকা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করে'।
যেহেতু আমি জাপানের রাজধানীর নাম'ই বলতে পারিনি সুতরাং এই এক্সপ্লেনেশন তাদের কাছে খাটবে না। তাই অপমান অপদস্থের শিকার হয়ে রুম থেকে বের হয়ে চলে আসলাম।
রুম থেকে বের হওয়ার পর মূহুর্তেই শালার টোকিওর নাম মনে পড়ল।একবার মনে চাইছিল আবার গিয়ে বলে বলে আসি। আবার চিন্তা করলাম 'এটা করতে গেলে আমাকে ভাইভাতে ফেল দিয়ে দিবে'।
দয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।