একটি জগন্য বাংলা নাটক
গতকাল রাত ৯.৩০ এর দিকে ড্রইংরুমে ঢুকে টিভির দিকে তাকিয়ে দেখি এনটিভিতে একটি কমেডি শো হচ্ছে। একটু দেখার পর হাসির পরিবর্তে মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। ছোট ভাইকে বললাম 'কি দেখিস এইগুলো, তাড়াতাড়ি চ্যানেল পাল্টা'। বলেই আমি মোবাইল টিপতে শুরু করলাম। ছোট ভাই চ্যানেল পাল্টালো।
কিছুক্ষণ পর খেয়াল হলো নাটক চলতেছে। তাকিয়ে দেখি বাংলা ভিশনে আফরান নিশো এবং মেহজাবিন অভিনীত নাটক হচ্ছে। নাটকের নাম কি সেটা আমি তখনও জানতাম না... নাটক শেষে ফেসবুকে খুঁজ নিয়ে জানতে পারলাম নাম 'আমার বউ'।
বাহ্, কি সুন্দর নাম। এই বউ শব্দটি আমার খুব পছন্দের 😊 যদিও এই শব্দটি ভালোবেসে কাউকে বলার মত সৌভাগ্য এখনো আমার হয়নি। তবে ইদানিং মনে হয় বাঙালি স্বামীরা জনসম্মুখে এই শব্দটি বলতে খুব লজ্জা বোধ করে,তাই খুব বেশি বলতে শোনা যায় না।বউ এর স্থলে তারা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ইংরেজি ওয়াইফ এবং এরপর স্ত্রী।
ঠিক একই ভাবে মেয়েরাও জামাই শব্দের পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করে ইংরেজি হাজবেন্ড এবং এরপর বাংলা স্বামী অথবা নতুন আমদানি করা শব্দ হবি।জামাই-বউ শব্দ দুটি বলতে মানুষের কেন এতো অনিহা আমার বুঝে আসে না।নাকি বাঙালি ইদানিং শব্দ বলার মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড খুঁজে বেড়ায়।কি জানি... হয়তো তাই।আমার কাছে অবশ্য এই দুটি শব্দ খুবই শ্রুতি মধুর মনে হয়।
আমিতো ঠিক করেছি বিয়ে পর আমার বউকে সারাদিন শুধু বউ বলে ডাকবো। বউ কি করো? বউ চলো ছাদে গিয়ে আকাশের তারা দেখি, আজকের শুক্র গ্রহটা অনেক উজ্জ্বল এবং খুব কাছে দেখাচ্ছে। বউ চলো আজকে বৃষ্টিতে ভিজি, জ্বর আসলে আসুক একদিন।বউ চলো ইরানের একটি নতুন মুভি নামাইছি সেটা আজকে দেখি, আচ্ছা ঠিক আছে তোমার প্রিয় হিন্দি মুভিটাও না হয় কালকে দেখবো। শুধু বউ.... আর বউ...যা আছে কপালে 😜😜
কথা গুলো অনেক বেশি লেইম হয়ে যাচ্ছে... বাদ দেই। আচ্ছা কোথায় যেন ছিলাম, ওহ্ হ্যাঁ, ড্রইংরুম... নাটক।
তো আমি মোবাইল চালাচ্ছিলাম আর অল্প অল্প করে নাটক দেখছিলাম।এই অল্প অল্প দেখার মাঝে নাটকের গল্প যা বুঝতে পারলাম তা হচ্ছে; নিশো মেহজাবিনকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু মেহেজাবিন নিশোকে একটুও পাত্তা দেয় না, বরং চরম অপছন্দ করে এবং খুব বিরক্ত হয়। নিশো এলাকার বড় ভাই, সে তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তার এবং মেহজাবিনের নাম লিখে রাখে। এমনি এলাকার মানুষের কাছে বলে বেড়ায় মেহজাবিন তার বউ। তাদের বিয়ে হয়ে গেছে।
এগুলো নিয়ে মেহজাবিন এবং তার পরিবার খুবই উদ্বিগ্ন, কারণ পাড়া প্রতিবেশীরা তাদেরকে নানান কথা বলে।একদিন এগুলো দেখে মেহজাবিনের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে যায়, তাই সে রেগেমেগে নিশোর কাছে গিয়ে বলে; 'আর কত বিরক্ত করবেন না আমাকে?? আর কতো ছোট করবেন আমাকে এবং আমার পরিবারকে?? আপনি যে আমাদেরকে মানুষের কাছে ছোট করতেছেন আপনি কি সেটা বোঝেন না?? আপনার কি সেই জ্ঞান নেই?? শুনেন এই পৃথিবীতে যদি আপনি একমাত্র ছেলেও হন তবুও আমি আপনাকে জীবনেও বিয়ে করব না। আর আমার বিয়ের সময় যদি আপনি কোন বাধা দেন, তাহলে হয় আপনি মরবেন না হলে আমি মরবো। বুঝেন সে কতটা ঘৃনা করে নিশোকে।
এরপর মেহজাবিনের বিয়ে ঠিক হয়, কিন্তু ছেলেটি অনেক সন্দেহ প্রবন হওয়ায় মেহজাবিন বিয়ে ভেঙে দেয়। বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পর পরই সে নিশোর কাছে গিয়ে বলে 'কি ব্যাপার, মানুষের কাছে গিয়ে শুধু বলে বেড়াতেন আমি আপনার বউ, কখনো কি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি আপনাকে পছন্দ করি কিনা? একবার জিজ্ঞেস তো করতে পারতেন!!😀😀 ব্লা... ব্লা.. ব্লা... এরপর আর কি, দুজনের মিল হয়ে যায়।
গতকাল রাত ৯.৩০ এর দিকে ড্রইংরুমে ঢুকে টিভির দিকে তাকিয়ে দেখি এনটিভিতে একটি কমেডি শো হচ্ছে। একটু দেখার পর হাসির পরিবর্তে মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। ছোট ভাইকে বললাম 'কি দেখিস এইগুলো, তাড়াতাড়ি চ্যানেল পাল্টা'। বলেই আমি মোবাইল টিপতে শুরু করলাম। ছোট ভাই চ্যানেল পাল্টালো।
কিছুক্ষণ পর খেয়াল হলো নাটক চলতেছে। তাকিয়ে দেখি বাংলা ভিশনে আফরান নিশো এবং মেহজাবিন অভিনীত নাটক হচ্ছে। নাটকের নাম কি সেটা আমি তখনও জানতাম না... নাটক শেষে ফেসবুকে খুঁজ নিয়ে জানতে পারলাম নাম 'আমার বউ'।
বাহ্, কি সুন্দর নাম। এই বউ শব্দটি আমার খুব পছন্দের 😊 যদিও এই শব্দটি ভালোবেসে কাউকে বলার মত সৌভাগ্য এখনো আমার হয়নি। তবে ইদানিং মনে হয় বাঙালি স্বামীরা জনসম্মুখে এই শব্দটি বলতে খুব লজ্জা বোধ করে,তাই খুব বেশি বলতে শোনা যায় না।বউ এর স্থলে তারা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ইংরেজি ওয়াইফ এবং এরপর স্ত্রী।
ঠিক একই ভাবে মেয়েরাও জামাই শব্দের পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করে ইংরেজি হাজবেন্ড এবং এরপর বাংলা স্বামী অথবা নতুন আমদানি করা শব্দ হবি।জামাই-বউ শব্দ দুটি বলতে মানুষের কেন এতো অনিহা আমার বুঝে আসে না।নাকি বাঙালি ইদানিং শব্দ বলার মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড খুঁজে বেড়ায়।কি জানি... হয়তো তাই।আমার কাছে অবশ্য এই দুটি শব্দ খুবই শ্রুতি মধুর মনে হয়।
আমিতো ঠিক করেছি বিয়ে পর আমার বউকে সারাদিন শুধু বউ বলে ডাকবো। বউ কি করো? বউ চলো ছাদে গিয়ে আকাশের তারা দেখি, আজকের শুক্র গ্রহটা অনেক উজ্জ্বল এবং খুব কাছে দেখাচ্ছে। বউ চলো আজকে বৃষ্টিতে ভিজি, জ্বর আসলে আসুক একদিন।বউ চলো ইরানের একটি নতুন মুভি নামাইছি সেটা আজকে দেখি, আচ্ছা ঠিক আছে তোমার প্রিয় হিন্দি মুভিটাও না হয় কালকে দেখবো। শুধু বউ.... আর বউ...যা আছে কপালে 😜😜
কথা গুলো অনেক বেশি লেইম হয়ে যাচ্ছে... বাদ দেই। আচ্ছা কোথায় যেন ছিলাম, ওহ্ হ্যাঁ, ড্রইংরুম... নাটক।
তো আমি মোবাইল চালাচ্ছিলাম আর অল্প অল্প করে নাটক দেখছিলাম।এই অল্প অল্প দেখার মাঝে নাটকের গল্প যা বুঝতে পারলাম তা হচ্ছে; নিশো মেহজাবিনকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু মেহেজাবিন নিশোকে একটুও পাত্তা দেয় না, বরং চরম অপছন্দ করে এবং খুব বিরক্ত হয়। নিশো এলাকার বড় ভাই, সে তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তার এবং মেহজাবিনের নাম লিখে রাখে। এমনি এলাকার মানুষের কাছে বলে বেড়ায় মেহজাবিন তার বউ। তাদের বিয়ে হয়ে গেছে।
এগুলো নিয়ে মেহজাবিন এবং তার পরিবার খুবই উদ্বিগ্ন, কারণ পাড়া প্রতিবেশীরা তাদেরকে নানান কথা বলে।একদিন এগুলো দেখে মেহজাবিনের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে যায়, তাই সে রেগেমেগে নিশোর কাছে গিয়ে বলে; 'আর কত বিরক্ত করবেন না আমাকে?? আর কতো ছোট করবেন আমাকে এবং আমার পরিবারকে?? আপনি যে আমাদেরকে মানুষের কাছে ছোট করতেছেন আপনি কি সেটা বোঝেন না?? আপনার কি সেই জ্ঞান নেই?? শুনেন এই পৃথিবীতে যদি আপনি একমাত্র ছেলেও হন তবুও আমি আপনাকে জীবনেও বিয়ে করব না। আর আমার বিয়ের সময় যদি আপনি কোন বাধা দেন, তাহলে হয় আপনি মরবেন না হলে আমি মরবো। বুঝেন সে কতটা ঘৃনা করে নিশোকে।
এরপর মেহজাবিনের বিয়ে ঠিক হয়, কিন্তু ছেলেটি অনেক সন্দেহ প্রবন হওয়ায় মেহজাবিন বিয়ে ভেঙে দেয়। বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পর পরই সে নিশোর কাছে গিয়ে বলে 'কি ব্যাপার, মানুষের কাছে গিয়ে শুধু বলে বেড়াতেন আমি আপনার বউ, কখনো কি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি আপনাকে পছন্দ করি কিনা? একবার জিজ্ঞেস তো করতে পারতেন!!😀😀 ব্লা... ব্লা.. ব্লা... এরপর আর কি, দুজনের মিল হয়ে যায়।
⛔ মন্তব্য;
এখন আমাকে কেউ একজন বুঝান এটা কি ধরনের স্ক্রিপ্ট ছিল।মুভি বা নাটকে একজন ভিলেন অথবা পাড়া-মহল্লার বখাটে, নেশাখোর ,ইভটিজার একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জন্য যতরকম পন্থা অবলম্বন করে, নিশোও মেহজাবিনকে ঠিক সেভাবেই উত্ত্যক্ত করেছে এবং মেহজাবিনও উক্তত্য হয়েছে।কিন্তু তারপরও মেহজাবিন সবকিছু ভুলে গিয়ে নিশোকে কাছে টানে।
কেন? কারণ নিশো গল্পের নায়ক। নায়ক যাই করুক না কেন সেটা ঠিক।কিন্তু ভিলেন করলেই সমস্যা, এই কাজগুলো যদি একজন ভিলেন করতো তাহলে তার গালে পড়তো নায়িকার চড় আর তার জায়গা হত জেলখানায়। কেন? যেটা খারাপ সেটা তো সব সময়ই খারাপ।ভিলেন করুক বা পাড়া মহল্লার বখাটে পোলাপান করুন অথবা নায়ক করুক।
এখন নায়কের অপকর্মকে যদি আপনি নাটকে সঠিক দেখান তাহলে এরা দ্বারা আমাদের যুবসমাজের কাছে কি মেসেজ যায়।রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী বখাটে পোলাপানরাও নিজেদের ভিলেন মনে করে না, হিরো মনে করে। তারা যখন এই ধরনের নাটক দেখবে তারাও ভাববে তারা যেটা করে সেটাই ঠিক।
মেহজাবিনের কথা আর কি বলব, এই মেয়ে মনে হয় সামনে যা পায় তাই করে। স্ক্রিপ্টের কোন বাচবিচার নাই,চিনে শুধু টাকা। যদিও আমি টিভি দেখি না, শুধুমাত্র খেলা দেখা ছাড়া। নাটকও খুব বেশি দেখা হয় না। অল্পস্বল্প যাও দেখি সেটাও ইউটিউবে।বাংলা নাটক অনেক আগেই মারা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে তার জানাযা দেওয়া হচ্ছে আরকি।
আফরান নিশোর নাটক এক সময় ভাল লাগতো। ইদানিং যা দেখেছি তাতে তার সেই একই রকম গল্প, তাতে সেই এলাকার বড় ভাই, সাথে কিছু সাঙ্গোপাঙ্গ, সেই একই রকম চিল্লাচিল্লি, মাথা ঝাঁকানো, তোতলামো, সেই একই রকম বডি ল্যাঙ্গুয়েজ।আচ্ছা ওনার কি বিরক্ত লাগে না!! এই একই জিনিস বারবার করতে। আমার তো দেখেই বিরক্ত লাগে।
দয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।