সম্প্রতি দেখা ৬ টি ক্লাসিক মুভি-২

সূচীপত্র (toc)

⬛1.Sunrise:A Song of Two Human (1927)

IMDb:8.2
এটি একটি সাইলেন্ট মুভি,মানে মুভিতে কোন ভয়েস নেই। আমেরিকান এই মুভিটি একজন জার্মান পরিচালক দ্বারা নির্মিত। মুভির গল্পটি গড়ে উঠেছে একজন খামারী, তার স্ত্রী এবং একজন খারাপ মানসিকতার নারীকে কেন্দ্র করে। একসময় এই নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই খামারির। যদিও খামারী তার স্ত্রী এবং একটি ছেলে নিয়ে বেশ সুখেই জীবন যাপন করছিল। কিন্তু ওই নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।যদিও তার স্ত্রীর কথা মনে পড়লে তার বিবেকে বাধা দেয়, কিন্তু যখন ওই নারীর কথা মনে পড়ে যায় তখন আবার সবকিছু ভুলে যায়।

একবার সেই নারী খামারীকে বলে তার সবকিছু বিক্রি করে তার সাথে শহরে চলে আসতে।খামারী বলে তার স্ত্রীর কি হবে।

তখন সেই নারী খামারিকে পরামর্শ দেয় বউকে নৌকায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পানিতে ফেলে মেরে ফেলার জন্য। কথা শুনে খামারির ভেতরে থাকা ভালো মানুষ জেগে ওঠে, সে কোনভাবেই রাজী হতে চায় না।কিন্তু সেই নারী তাকে প্ররোচিত করে শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনায় রাজী করায়।খামারী তার স্ত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। স্ত্রী শুনে খুব খুশি হয়, কারণ তাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। সে ভাবে এই বেড়ানোর মাধ্যমে হয়তো তাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে। স্ত্রী সেজেগুজে নতুন কাপড়চোপড় পড়ে নৌকা করে স্বামীর সাথে বেড়াতে যায়। যে স্বামীর পরিকল্পনা হচ্ছে মাঝ নদীতে নিয়ে স্ত্রীকে নৌকা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মেরে ফেলার।

মুভিতে খামারীর ভেতরে থাকা ভালো এবং খারাপ দুটি সত্ত্বার উপস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।মাঝে মাঝে যখন তার স্ত্রীর কথা মনে পড়ে তখন সে চিন্তা করে সে যা করছে তা সব অন্যায়। আবার যখন সে সেই নারীর কথা মনে করে তখন সবকিছু তার কাছে সঠিক মনে হয়। এভাবে তার ভেতরে থাকা দুটি সত্ত্বার মধ্যে সবসময় দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। সব মানুষের ভিতরে ভালো খারাপ দুটো সত্ত্বা আছে।খারাপকে কন্ট্রোল করে ভালোকে গ্রহণ করাটাই হচ্ছে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় পরিক্ষা।

মুভিটি বিশ্বব্যাপী একটি মাস্টারপিস এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মুভি গুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়।১৯৮৯ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল ফ্লিম রেজিস্ট্রিতে মুভিটিকে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয়। ২০০৮ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের করা সেরা ১০০ মুভির মধ্যে এর অবস্থান ৮২.

⬛2.The Grapes of Wrath (1940)

IMDb:8
১৯৩০ এর দশকে আমেরিকার ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে বসবাস করা একটি অসহায় পরিবারের গল্প। পরিবারটি একসময় মোটামুটি ভালই ছিল, অভাব থাকলেও অন্তত বেঁচে থাকার জন্য একটি ঘর ছিল। কিন্তু একদিন এক কম্পানি এসে তাদের জায়গাসহ তাদের বাড়ির আশপাশের সমস্ত জায়গা দখল করে তাদের ঘর বাড়ি সব ভেঙ্গে দেয়। গৃহহীন এই পরিবারটি সিদ্ধান্ত নেয় তারা ক্যালিফোর্নিয়া চলে যাবে। এরই মাঝে তারা ক্যালিফোর্নিয়ায় কাজের সন্ধান পায়। তাই তারা সমস্ত জিনিসপত্র গুছিয়ে পরিবারের সব সদস্য সহ একটি ট্রাকে করে কয়েক হাজার মাইল দূরের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।এক বুক স্বপ্ন নিয়ে তারা ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও তাদের যাত্রা পথ এতো সহজ হয় না। বরং তাদের দুঃখকষ্ট এবং বেঁচে থাকার সংগ্রাম আরো ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।

জন ফোর্ড পরিচালিত আরেকটি মাস্টারপিস মুভি। দুটি ক্যাটাগরিতে অস্কার প্রাপ্ত এই মুভিটি একই নামের একটি উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে। মুভিটিকে আমেরিকার ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুভি গুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়।১৯৮৯ সালে আমেরিকার জাতীয় ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে প্রথমবারের মতো যে ২৫টি মুভিকে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয় এই মুভিটি হচ্ছে তার মধ্যে একটি। আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের করা সেরা ১০০ মুভির মধ্যে এটির অবস্থান অবস্থান ২১।

মুভিতে ১৯৩০ এর দশকে চলা বিশ্বমন্দার সময়ে মানুষের জীবনযাত্রায় যে মারাত্মক রকম বিপর্যয় নেমে এসেছিল সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দেখা যায় বিশ্বমন্দার ফলে মানুষ গৃহহীন এবং কর্মহীন হয়ে যায়, তিনবেলা খাদ্যও অনেক পরিবার যোগাতে পারে না। তারা বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে। কিছু মানুষ অসহায় এই মানুষদের ব্যবহার করে নামমাত্র মজুরিতে কাজ করিয়ে নেয়।

১৯২৯ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত চলা এই মন্দায় বিশ্বব্যাপী জিডিপি প্রায় ১৫ শতাংশ হ্রাস পায়।ধনী-দরিদ্র উভয় দেশে এই মন্দা মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিলো।ব্যক্তিগত আয়, কর, ও মুনাফার ব্যাপক পতন ঘটে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ৫০ শতাংশ কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। কিছু কিছু দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যায় ৩৩ শতাংশ।

⬛3.How Green Was My Valley (1941)

IMDb:7.7
একটি সুখী পরিবারের গল্প। যে পরিবারে আছে বাবা-মা, একটি বোন এবং ছয় ভাই।এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছেলে ৫০ বছর পূর্বে তার পরিবারের সোনালী সময় গুলো নিজে বর্ননা করেন। তখন ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায়, এই পরিবারটি ইংল্যান্ডের ওয়েলসে বসবাস করতো। পিতা এবং তার বড় পাঁচ ছেলে বাড়ি থেকে অল্প একটু দূরে একটি কয়লার খনিতে কাজ করত। সারাদিন কাজ শেষে পারিশ্রমিক নিয়ে তারা সবাই গান করতে করতে বাড়িতে ফেরত।পরিবারের ছোট মেয়ে দরজার সামনে আঁচল পেতে দাঁড়িয়ে থাকত এবং তার ভাইয়েরা তাকে কিছু টাকা দিত, একেবারে ছোট ভাইও কিছু টাকা মাঝে মাঝে পেত।ছোট ভাই সেই টাকা নিয়ে পাশের এক দোকানে গিয়ে ক্যান্ডি কিনে আনতো।আর বাড়িতে মা রান্না করে সবার জন্য অপেক্ষা করত।

এভাবে খুব সুন্দর সময় যাচ্ছিল তাদের। পরিবারের সবার মাঝে অনেক শক্ত বন্ধন ছিল। একদিন খনিতে কিছু লোক ছাঁটাই করার ঘোষণা আসে। সেই খনির একজন নেতা হচ্ছে এই পরিবারের পিতা। সুতরাং এটা নিয়ে পিতার সাথে শ্রমিক এবং বাড়ির অন্য ছেলেদের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। এরপর খনিতে ঘটা আরো কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে পরিবারে ভাঙ্গন দেখা দেয় এবং সেই সুন্দর সময়গুলো একসময় অতীত হয়ে যায়। পরিবারে একেবারে ছোট ছেলে ৫০ বছর পর সেই সুসময়ের স্মৃতিচারণ করে বলে 'How Green Was My Valley'

কোন সন্দেহ নেই এটি আমার দেখা অন্যতম সেরা পারিবারিক মুভি।মুভি দেখার সময় আমার মনে হয়েছে আমি সত্যি সত্যি কোন পরিবারকে দেখছি, কোন পরিবারের সুন্দর এবং দুঃখের মুহূর্তে গুলো আমার সামনে ঘটছে।সাদাকালো হলেও এর সিনেমাটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ, সম্ভবত সাদাকালো হওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লেগেছে। মুভিতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ওই পরিবারের মা এবং পিতার চরিত্রকে। বিশেষ করে সব পরিস্থিতিতে পরিবারকে আগলে রাখার সাহস জোগানোর ভূমিকায় মায়ের চরিত্র ছিল অনবদ্য।

জন ফোর্ড পরিচালিত পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অস্কার প্রাপ্ত এই মুভিটি একই নামের একটি উপন্যাস থেকে নির্মিত। জন ফোর্ড লোকটা একজন জিনিয়াস। চারটি অস্কারপ্রাপ্ত এই পরিচালকের ঝুলিতে রয়েছে আরো অসংখ্য পুরস্কার। তার প্রতিটি মুভি একেকটা মাস্টারপিস।১৯৯০ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে মুভিটিকে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয়।

⬛5.The Bridge (1959) West Germany

IMDb:8.3
১৯৫৯ সালে পশ্চিম জার্মানি নির্মিত এই মুভিতে ৭ জন জার্মান কিশোর সৈন্যের যুদ্ধের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাদের সবার বয়স ছিল ১৭ বছরের মধ্যে এবং তারা সবাই একই স্কুলের একই ক্লাসের ছাত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যাওয়ার জন্য ট্রেনিং শেষে তাদেরকে তাদেরই গ্রামের একটি ব্রিজ রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়।

শেষ পর্যন্ত এই মিশনে তাদের সাথে কোন অফিসার থাকে না, শুধু তারা সাতজন'ই থেকে যায়।ওদিকে পরাজয় জেনে কিছু জার্মান সৈন্য আমেরিকান সৈন্যদের সাথে আঁতাত করে ফেলে।এই সাত কিশোরকে বারবার বলা হয় ব্রিজ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য, কিন্তু তারা রাজি হয়না। সবাই চলে গেলেও এই সাত জন কিশোর ব্রিজ রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন দিয়ে লড়ে যায়। মুভিটি একটি উপন্যাস থেকে নির্মিত এবং এটি একটি সত্য ঘটনা। এই ঘটনা সেই সাতজন থেকে বেঁচে যাওয়া একজনের বর্ণনায় উঠে এসেছে।

সাতজন কিশোরের জীবন করুন পরিনতি দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগে।মাত্র অল্প কয়েকদিনের ট্রেনিংয়ে তারা যুদ্ধের কিছুই বুঝার কথা না। তারপরও তারা বীরত্বের সাথে লড়াই করে যায়। তারা সরল বিশ্বাসে দায়িত্বশীলতার সাথে ব্রীজ রক্ষার জন্য চেষ্টা করে গেছে, চাইলে তারাও অন্য অনেকের মতো চলে যেতে পারত, কিন্তু যায়নি।সাধারন একটি ব্রীজ রক্ষার জন্য তাদের এই আত্মত্যাগের কথা কি মানুষ মনে রেখেছে!! তাও আবার তারা জার্মান সৈন্য।

⬛4.All Quiet on the Western Front (1930)

IMDb:8
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুর সময়কার ঘটনা। কিছু জার্মান স্কুল ছাত্রদের বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক কথা শুনিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং ছাত্ররা যুদ্ধে রাজী হয়ে যায়। তারা মনে করে সৈন্যিক হওয়া মানে বিশেষ কিছু, ভিন্ন জীবন এবং অনেক সুযোগ-সুবিধাময় জীবন যাপন।

তাই তারা যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার পর ক্যান্টিন খুঁজে, ঘুমানোর জন্য সুন্দর জায়গা খুঁজে, কিন্তু পায় উল্টোটা। তাদেরকে কয়েকদিন না খেয়ে থাকতে হয়, আর ঘুমানোর জায়গা তো দূরের কথা  ঘুমানোর সুযোগই তো নেই।তারা পায় রক্ত, মৃত্যু আর যুদ্ধের বিভীষিকা।যে বয়সে তাদের খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা, সেই বয়সে তারা দেখে যুদ্ধের ভয়াবহতা আর চোখের সামনে বন্ধুদের একের পর এক মৃত্যু।

বিশ্বযুদ্ধ কত ভয়াবহ, কতটা নির্মম,আর কতটা রক্তাক্ত ছিল সেটা দেখার জন্য এরকম একটি মুভি দেখাই যথেষ্ট।৯০ বছর আগের মুভি, কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিনয়, পরিচালনা এবং এতো ব্যাপক পরিসরে মুভি নির্মাণ দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। আমাদের উপমহাদেশের যুদ্ধের মুভিগুলো কোয়ালিটির দিক থেকে এখনো এই মুভিগুলোর ধারের কাছেও নেই,বরং বহু পিছনে রয়ে গেছে।

দুটি ক্যাটাগরিতে অস্কার প্রাপ্ত আমেরিকান এই মুভিটি নির্মাণ করা হয়েছে একটি জার্মান উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে।

⬛6.Butch Cassidy and the Sundance Kid (1969)

IMDb:8
দুই বন্ধুকে নিয়ে গল্প, তাদের মধ্যে খুব গভীর বন্ধুত্ব।একজন অসম্ভব বাকপটু এবং চালাক, অপরজন খুবই সাহসী এবং বন্দুক চালানোয় পারদর্শী। দুজনেই প্রথমে ছিল চোর, এরপর সেখান থেকে তারা হয়ে যায় রেল ডাকাত।রেল থামিয়ে তারা ডাকাতি করতো এবং এ কাজে তারা বেশ সফল বলা যায়। কিন্তু একদিন রেল ডাকাতি করতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয়। ডাকাতি ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে একদল লোক তাদের পিছু ধাওয়া করতে থাকে, দুই বন্ধু বিপদ থেকে বাঁচতে ছুটে পালাতে থাকে মাইলের পর মাইল, লোক গুলোও পিছু হটার নয়, তারাও পিছু পিছু চলতে থাকে।


অস্থির একটি মুভি।এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সিনেমাটোগ্রাফি ছিল চমৎকার। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে দুই বন্ধুর অভিনয় এবং তাদের ডায়লগ।মুভিটি দেখার সময় আমার বারবার শুধু একটা কথাই মনে হয়েছে,আমি কেন এটি আরো আগে দেখিনি!!

জর্জ বেইলি হিল পরিচালিত এই মুভিটি চারটি ক্যাটাগরিতে অস্কার লাভ করেছে। IMDb এর সেরা মুভির তালিকায় এর অবস্থান ২৪৪. ২০০৩ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে মুভিটিকে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয়। আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের করা সেরা ১০০ মুভি মধ্যে এর অবস্থান ৭৩। ২০০৮ আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের করা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দশটি ওয়েস্টার্ন মুভির মধ্যে এর অবস্থান সপ্তম।

12.04.2020-15.04.2020

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.