Lawrence of Arabia (1962)

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বৃটিশ লেফটেন্যান্ট টি.ই লরেন্সকে মধ্যপ্রাচ্যের পাঠানো হয় আরবদেরকে একত্রিত করে অটোমান সাম্রাজ্যের (তুরস্ক) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। অটোমানরা ছিল তখন জার্মানি বা অক্ষর শক্তির পক্ষে।তখন তারা ছিল আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত অনেক শক্তিশালী এবং পুরো আরব ছিল তখন অটোমান সাম্রাজ্যের দখলে। পক্ষান্তরে আরবরা ছিল তখনো বেদুইন, তাদের কাছে কোন আধুনিক অস্ত্র ছিল না, তারপর উপর গোত্রে গোত্রে তাদের মধ্যে সবসময় দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। একারণে অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা বিদ্রোহ করে আরবরা কিছুতেই পেরে উঠছিল না।


লেফটেন্যান্ট লরেন্স আরবদের স্বাধীন রাষ্ট্র সহ আরো অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকগুলো গোত্রকে একত্রিত করে এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।মদিনা থেকে দামেস্ক পর্যন্ত রেল সংযোগ অচল করে দেয়া ছিল তার গেরিলা তৎপরতার মুখ্য উদ্দেশ্য। এহেন কাজে লরেন্স এতোটাই সফল হয়েছিলেন যে আরব বেদুইনদের কাছে তিনি "আমির ডায়নামাইট" নামে পরিচিত ছিলেন। এভাবে সে অটোমান সাম্রাজ্যের দখলে থাকা আকাবা বিজয় করে যার ফলে সিরিয়া এবং মিশরে যাওয়ার পথ অনেক সহজ হয়ে যায়। তাকে মধ্যপ্রাচ্য তথা আধুনিক আরব বিশ্বের জনক বলা হয়।

এটি বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সর্বাকালের অন্যতম সেরা ও প্রভাবশালী চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃত।৩৫তম একাডেমি পুরস্কারে ছবিটি ৭টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। ২০তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে ছবিটি শ্রেষ্ঠ নাট্য চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ ৬টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া ১৬তম বাফটা পুরস্কারে ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ চলচ্চিত্রসহ ৪টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস ১৯৯১ সালে ছবিটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করে। ছবিটি ১৯৯৮ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সেরা ১০০ চলচ্চিত্র তালিকায় ৫ম স্থান ও ২০০৭ সালের হালনাগাদকৃত তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করে। ১৯৯৯ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের শীর্ষ ১০০ ব্রিটিশ চলচ্চিত্র তালিকায় এর ৩য় স্থান অধিকার করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.