ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সম্পর্কে যত জানি ততই অবাক হয়ে যাই। পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এই গোয়েন্দা সংস্থা পারে না এমন কোন কাজ নেই। ইসরাইল অথবা ইহুদিদের স্বার্থে আঘাত আনবে অথবা এনেছে এমন কোন কাজ কেউ করলে তাকে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে এরা ধরা আনবে অথবা মেরে ফেলবে। এইরকম অপারেশন করার ইতিহাস মোসাদের অনেক আছে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই মুভিটিও ঠিক সেরকম একটি অপারেশনকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে হিটলার বা নাৎসি বাহিনী ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করে। প্রথমে হত্যা করা হতো শুট করে, এরপর আবিষ্কার হয় গ্যাস চেম্বার। যেখানে মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হতো। যার আইডিয়াতে এই পদ্ধতি আবিষ্কার হয় তিনি হলেন লেফটেন্যান্ট এডলফ আইখম্যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে সংঘটিত হলোকাস্টের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এই লেফটেনেন্ট আইখম্যান।অসউইচ রাজনৈতিক বন্দিশিবিরের ন্যায় সংগঠিত লাখো লাখো লোকের হত্যাযজ্ঞের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন।বলা হয়ে থাকে তিনি হিটলারের সবচেয়ে কাছের এবং বিশ্বস্ত ছিলেন বিদায় তিনি ছিলেন মহা ক্ষমতাধর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের দিকে হিটলার এবং তার কাছের কয়েকজন আত্মহত্যা করে। জার্মানির পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালে ইউএস বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে,কিন্তু সে পালিয়ে যায়।১৯৫০ সালে আইখম্যান জার্মানি থেকে পালিয়ে আর্জেন্টিনা চলে আসে। সেখানে নাম পরিচয় পাল্টিয়ে বিয়ে করে সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে থাকে। কিন্তু ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তার পিছু ছাড়েনি এবং শেষ পর্যন্ত তারা আর্জেন্টিনায় আইখম্যানের সন্ধান পায়।
১৯৬০ সালে মোসাদের কিছু গোয়েন্দা আর্জেন্টিনায় গিয়ে এডলফ আইখম্যানকে আটক করে এবং সেখান থেকে অপহরণ করে তাকে ইসরাইলের নিয়ে আসে। এরপর শুরু হয় তার বিচার কার্য। দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে ১ই জুন ১৯৬২ সালে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। তার দেহ আগুনে পুড়িয়ে তার ছাই সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। এডলফ আইখম্যানের বিচার প্রক্রিয়া ইজরাইলের রেডিওতে এবং বিশ্বব্যাপী টেলিভিশনে সরাসরি প্রচার করা।
মুভি হিসেবে এটা যথেষ্ট ভালো। একটি থ্রিলারধর্মী মুভিতে যেমনটা তাকে, টানটান উত্তেজনা, সুন্দর সিনেমাটোগ্রাফি, চমৎকার অভিনয় তার সবই বিদ্যমান এখানে। কিন্তু ইসরাইলিদের জয়জয়কার দেখতে আমার মোটেও ভালো লাগে না।সারাক্ষণ চাচ্ছিলাম মিশন ব্যর্থ হোক এবং মোসাদের সব গোয়েন্দা ধরা পড়ুক। নিজেরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে আরেকজন হত্যাকারীর বিচার করবে এটা আমার কাছে অদ্ভুত লাগে।
তারপরও মোসাদ বা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্কিত মুভি দেখি, কারণ ইতিহাস জানতে ভালো লাগে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে হিটলার বা নাৎসি বাহিনী ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করে। প্রথমে হত্যা করা হতো শুট করে, এরপর আবিষ্কার হয় গ্যাস চেম্বার। যেখানে মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হতো। যার আইডিয়াতে এই পদ্ধতি আবিষ্কার হয় তিনি হলেন লেফটেন্যান্ট এডলফ আইখম্যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে সংঘটিত হলোকাস্টের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এই লেফটেনেন্ট আইখম্যান।অসউইচ রাজনৈতিক বন্দিশিবিরের ন্যায় সংগঠিত লাখো লাখো লোকের হত্যাযজ্ঞের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন।বলা হয়ে থাকে তিনি হিটলারের সবচেয়ে কাছের এবং বিশ্বস্ত ছিলেন বিদায় তিনি ছিলেন মহা ক্ষমতাধর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের দিকে হিটলার এবং তার কাছের কয়েকজন আত্মহত্যা করে। জার্মানির পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালে ইউএস বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে,কিন্তু সে পালিয়ে যায়।১৯৫০ সালে আইখম্যান জার্মানি থেকে পালিয়ে আর্জেন্টিনা চলে আসে। সেখানে নাম পরিচয় পাল্টিয়ে বিয়ে করে সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে থাকে। কিন্তু ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তার পিছু ছাড়েনি এবং শেষ পর্যন্ত তারা আর্জেন্টিনায় আইখম্যানের সন্ধান পায়।
১৯৬০ সালে মোসাদের কিছু গোয়েন্দা আর্জেন্টিনায় গিয়ে এডলফ আইখম্যানকে আটক করে এবং সেখান থেকে অপহরণ করে তাকে ইসরাইলের নিয়ে আসে। এরপর শুরু হয় তার বিচার কার্য। দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে ১ই জুন ১৯৬২ সালে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। তার দেহ আগুনে পুড়িয়ে তার ছাই সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। এডলফ আইখম্যানের বিচার প্রক্রিয়া ইজরাইলের রেডিওতে এবং বিশ্বব্যাপী টেলিভিশনে সরাসরি প্রচার করা।
মুভি হিসেবে এটা যথেষ্ট ভালো। একটি থ্রিলারধর্মী মুভিতে যেমনটা তাকে, টানটান উত্তেজনা, সুন্দর সিনেমাটোগ্রাফি, চমৎকার অভিনয় তার সবই বিদ্যমান এখানে। কিন্তু ইসরাইলিদের জয়জয়কার দেখতে আমার মোটেও ভালো লাগে না।সারাক্ষণ চাচ্ছিলাম মিশন ব্যর্থ হোক এবং মোসাদের সব গোয়েন্দা ধরা পড়ুক। নিজেরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে আরেকজন হত্যাকারীর বিচার করবে এটা আমার কাছে অদ্ভুত লাগে।
তারপরও মোসাদ বা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্কিত মুভি দেখি, কারণ ইতিহাস জানতে ভালো লাগে।
দয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।