প্রিয়তমা, তোমার সাথে যখন দেখা হবে তখন তোমাকে আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গায় নিয়ে যাবো। যে জায়গায় একাকী আমি কাটিয়েছি আমার জীবনের সবচেয়ে বিষন্ন এবং আনন্দময় সময়গুলো। জায়গাটা খুব অদ্ভুত রকম সুন্দর। জনবসতি থেকে বেশখানিকটা দূরে,তাই নিরব এবং নিস্তব্ধ পরিবেশ। তুমি বর্ষাকালে এখানে আসলে দেখবে সচ্ছ নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর চারিদিকে বর্ষার থৈথৈ পানি, শীতকালে দেখবে সরিষা ফুলের আভায় আলোকিত হলদেটে পরিবেশ এবং শিশির ভেজা ঘাস,আর গ্রীস্মকালে দেখবে দিগন্ত জুড়ে থাকা সবুজ ধান সবুজ ধান ক্ষেত।
কোন স্নিগ্ধ বিকাল বেলায় আমরা দুইজন গল্প করতে করতে সেখানে যাবো। জায়গায়টা আমার বাসা থেকে একটু দূরে... তাই বেশখানিকটা পথ আমাদের হেঁটে যেতে হবে। আচ্ছা, তুমি এতো দূর হেঁটে যেতে পারবে তো? তোমার কষ্ট হবে না তো!! আচ্ছা, একদিন না হয় আমার জন্য কষ্ট করলে।
যাওয়ার পথে খুব সরু এঁকেবেঁকে বয়ে চলা একটি নদী পড়বে,যে নদীতে আছে খুব চিকন এবং নড়বড়ে একটি বাঁশের সাঁকো। আমাদের এই সাঁকোটি পার হতে হবে। আচ্ছা, তুমি বাঁশের সাঁকো পর হতো পারবে তো? ভয় পাবে না তো? ভয় পেতে হবে না, আমি তো আছি। আমি তোমাকে হাত ধরে সাঁকো পর করিয়ে দিবো।
এঁকেবেঁকে বয়ে চলা নদী, বাঁশের সাঁকো, কাশবন,আর সবুজ পথ মাড়িয়ে আমরা একসময় পৌঁছে যাবো আমাদের গন্তব্যে।
তুমি যখন এই সবুজ মাঠে এসে দাঁড়াবে তখন চারিদিকে দেখবে শুনশান নীরবতা,থাকবে শুধু তুমি আর আমি আর দখিনা মৃদু হাওয়া,আর ওইযে, ওই একলা দাঁড়িয়ে থাকা গাছটা,সেখান থেকে ভেসে আসবে কিছু পাখির ডাক।হয়তো কিছু পাখি কিচিরমিচির করে ডাকতে ডাকতে আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে যাবে। তুমি সবুজ ঘাসের চাদরে তোমার শাড়ির আঁচল বিছিয়ে বসে থাকবে। দখিনা হাওয়ায় তোমার খোলা চুল উড়তে থাকবে, তুমি চোখ বুঝে এই সময়টুকু অনুভব করার চেষ্টা করবে।আর আমি.আমি তখন পাশে বসে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তা দেখবো।
আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় এর থেকে ভালোলাগার মূহুর্ত পৃথিবীতে আর কিছু আছে? হয়তো আছে। কিন্তু আমার কাছে এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো লাগার মূহূর্ত।
প্রিয়তমা, তোমার সাথে দেখা হলে তোমাকে ঘিরে তৈরি হওয়া আমার ছোট্ট পৃথিবী দেখাবো।যে পৃথিবীতে আমি তোমার কল্পনাকে করে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছি কত পথঘাট, নদীনালা,আর পাহাড় পর্বত।
তোমাকে ভেবে লেখা-৪
১৫.০৭.২০২০
রাত ২:২০
দয়াকরে কমেন্টে স্পাম মেসেজ দেবেন না।