🔴The Secret World of Arrietty (2010)

Country:Japan

১৪ বছরের ‌আরিয়াত্তি হচ্ছে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বোরোয়ার প্রজাপতির খুব ইনোসেন্ট এবং কিউট একটি মেয়ে।বোরোয়ার প্রজাপতি মানুষের বিশেষত্ব হচ্ছে এরা উচ্চতায় খুব ছোট, বড়জোর একটি বড় সাইজের চায়ের কাপের সমান হবে। এই প্রজাপতির মানুষ অন্য সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য সংগ্রহ করে তা দিয়ে তাদের জীবন যাপন করে এবং তারা এই পদ্ধতিতে খাদ্য সংগ্রহকে ধার নেয়া বলে।


তো আরিয়াত্তি তার বাবা মায়ের সাথে 'শো' এর খালার বাড়িতে একটি পরিত্যক্ত স্থানে লুকিয়ে বসবাস করে। খুব ছোট্ট একটি বাক্সের ভেতর তাদের বসবাস, যেখানে আছে খুব সাজানো গুছানো কিচেন, ডাইনিং ,ড্রয়িং এবং বেড রুম। খুব রুচিশীল এবং অভিজাত পরিবারের মতো তারাও সেই ছোট্ট বাক্সের ভেতর বসবাস করে।

১২ বছরের 'শো' একদিন তার খালার বাড়িতে হাওয়া পরিবর্তনের জন্য এসে এরিয়াত্তির দেখা পায় এবং সে বুঝতে পারে এই বাড়িতে ছোট মানুষ বসবাস করে। এদিকে শো এর খালার বাড়িতে থাকা গৃহকর্মী ওই ছোট মানুষদের অস্তিত্ব জানার পর তাদের ক্ষতি করার জন্য তাদের পেছনে লাগে। কিন্তু শো আরিয়াত্তি এবং তার পরিবারকে বেঁচে থাকার জন্য সব রকমের সহায্য করে যায়।

🔴স্টুডিও জিবলির আরেকটি অনবদ্য সৃষ্টি হচ্ছে The Secret world of Arrietty. স্টুডিও জিবলির অন্যান্য মুভির মতো এই মুভিতেও আছে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিক্স, মন ছুঁয়ে যাওয়া ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, রূপকথার মতো গল্প এবং কবিতার মতো সংলাপ।

শো আর আরিয়েত্তির মধ্যে যে একটি নামহীন ভালো লাগার সম্পর্ক গড়ে উঠে সেটা ছিল এই মুভির সবচেয়ে সুন্দর দিক। ভালো লেগেছে আরিয়াত্তির উচ্ছলতা, তার ছুটে চলা, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে। যদিও আরিয়াত্তি একটি এনিমেটেড চরিত্র, কিন্তু দেখার সময় মনে হয়েছে সত্যি সত্যি  কোন কিশোরী মেয়ে আমার সামনে কথা বলছে, ছুটে চলছে।

আরিয়াত্তি যখন তার চুল থেকে হেয়ার ক্লিপটি খুলে শো কে উপহার দেয়, সেই দৃশ্যটি ছিল অসম্ভব ভালো লাগার। দৃশ্যটি দেখে আমার একটি স্মৃতি মনে গেছিলো। তবে মুভির শেষটা একটু কষ্টের,শেষটা দেখে মনটা কেমন যেন করে উঠে। শেষটা অন্যরকম হলেও পারতো, মনে হয়।

মুভিটি দেখে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম,আরিয়াত্তির সেই লুকানো ছোট্ট পৃথিবী থেকে ফিরে আসতে একটুও ইচ্ছে করছিলো না।এতো সুন্দর পাহাড়,ঝর্না, সবুজ, ফুল,পাখি, প্রজাপতি ছেড়ে এই লোভী, মায়াহীন, স্বার্থপর আর যান্ত্রিক পৃথিবীতে কেই-বা ফিরে আসতে চাইবে!!স্টুডিও জিবলির মুভি দেখার সময় সত্যি সত্যি তাদের ২ডি এনিমেডেট রঙিন পৃথিবী ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করে না, সেখানে থেকে যেতে পারলে খুব ভালো হতো।

মুভিটি রিলিজ হয় ২০১০ সালের ১৭ই জুলাই মাসে জাপানে। নাম দেয়া হয় "Kari-gurashi no Arietti" যার ইংলিশ অর্থ "The Borrower Arrietty". মুভিটি পরিচালনা করেছেন জাপানিজ ফ্যান্টাসি এনিমেটেড ফিল্ম ডিরেক্টর Hiromasa Yonebayashi. এর রাইটার হচ্ছেন  Hayao Miyazaki এবং Keiko Niwa. ২৩ মিলিয়ন ডলার বাজেটের মুভিটি ২০১০ এ জাপানিজ বক্স অফিসে প্রায় ১৪৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে।

এটি ৩৪তম জাপান অ্যাকাডেমি প্রাইজ এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে Animation Of The Year এওয়ার্ড পেয়েছিল। Walt Disney Pictures মুভিটি রিলিজ করেছে ২০১২ এর ১৭ই ফেব্রুয়ারীতে এবং নাম দেয়া হয় The secret world of Arrietty.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.