এই অক্টোবর মাসে দেখা ১০টি মুভি (মিনি রিভিউ সহ)

আসলে অক্টোবর মাসে ১০ টির অনেক বেশি মুভি দেখেছি। তবে দেখা মুভিগুলোর মাঝে কিছু মুভি খুব ভালো লাগেছে, আবার কিছু অনেক প্রত্যাশা নিয়ে দেখতে গিয়ে মোটেও ভালো লাগেনি। এরকমই ১০টি মুভি নিয়ে এই পোস্ট।এই ১০টির মাঝে ২টি ইংরেজি ভাষার এবং বাকি গুলো বিভিন্ন ভাষার মুভি। তবে চলুন শুরু করা যাক;

১. Journey Of Hope (1990)
দেশ: তুরস্ক , সুইজারল্যান্ড
আমরা সবাই ধারণা করি ইউরোপ হচ্ছে স্বপ্নের দেশ, স্বপ্ন পূরণের দেশ। যেখানে গেলে সব স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়, অন্তত আর্থিক দৈন্যতা মেটানোর স্বপ্ন তো পূরণ হয়েই যায়।এই স্বপ্নের দেশে এক বুক আশা নিয়ে অবৈধভাবে যেতে গিয়ে কত স্বপ্ন যে মাঝ রাস্তায় হারিয়ে যায় সেটাই এই মুভিতে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

তুরস্কের প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত দরিদ্র এক পিতা তার পরিবারের অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে নিজের সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিয়ে স্ত্রী এবং এক ছেলেকে নিয়ে অবৈধভাবে সুইজারল্যান্ড এর পথে যাত্রা করে। বাড়িতে রেখে যায় তার বৃদ্ধ বাবা মা এবং তার অপর ছয় ছেলে মেয়েকে। কিন্তু তারা জানে না এই যাত্রায় তাদের জন্য সামনে কত ভয়াবহতা, কত নির্মমতা, কতো করুন পরিনতি অপেক্ষা করে আছে। তাদের অসহায়ত্ব এবং শেষ পরিধি যে কারো চোখে পানি এনে দিতে বাধ্য করবে।মুভিটি ১৯৯০ সালে বিদেশী ভাষা ক্যাটাগরিতে অস্কার প্রাপ্ত।
⚫⚪পার্সোনাল রেটিং:৫/৫

⚫2.Halima's Path (2012)
দেশ: বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়া
হালিমা বসনিয়ার একজন মুসলিম নারী। বসনিয়ার যুদ্ধের সময়কালে সে তার স্বামী এবং  একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছে। তবে তারা এখনো মৃত নাকি জীবিত সেটা সে জানে না।তাই তার হারিয়ে যাওয়া ছেলে এবং স্বামীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য সে সব সময় অনুসন্ধান করতে থাকে। আর এই অনুসন্ধান কাজে সে তার ভাগ্নি সোফিয়ার সাহায্য চায়... এই সোফিয়াকে আবার তার বাবা এক সার্ব ছেলেকে ভালোবাসার অপরাধে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।সোফিয়ার সাথে যোগাযোগ করার পর থেকেই বেরিয়ে আসে একের পর এক হকচকিয়ে দেয়া ঘটনা।

এটা ছিল আমার দেখা দ্বিতীয় কোন বসনিয়ার মুভি। প্রথমটা মোটামুটি ভালো লাগলেও এই মুভিটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগছে।সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই মুভিটির সিনেমাটোগ্রাফি, অভিনয়, পরিচালনা এবং শেষের টুইস্ট দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেছি।
⚫পার্সোনাল রেটিং:৫/৫


⚫3. 1987: When the Day Comes 2017
দেশ: দক্ষিণ কোরিয়া
1987: When the day comes একটি কোরিয়ান পলিটিক্যাল ড্রামা ঘরনার মুভি।যার প্রেক্ষাপট ১৯৮৭ সালের কোরিয়ান স্বৈরতান্ত্রিক সরকার কর্তৃক বিরোধী পক্ষের উপর দমন নিপীড়ন এবং সেই স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের পতনের জন্য ছাত্র আন্দোলনের ঘটনাকে নিয়ে।

স্বৈরশাসকের অনুসারী এন্টি কমিউনিস্ট ইউনিট বিরোধী দলের সমর্থক এক ছাত্রকে ধরে এনে টর্চার করতে থাকে। উদ্দেশ্যে ওই বিরোধী দলের এক নেতার সন্ধান জানা। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ছেলেটি মারা যায়। উপর মহলের নির্দেশ অনুযায়ী ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক উল্লেখ করে লাশ দ্রুত পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু আসল সত্য গোপন রাখা যায় না, কিছু সাংবাদিক এবং প্রশাসনের কিছু ব্যক্তি আসল ঘটনা ধীরে ধীরে জেনে যায়। এরপর আগে থেকেই চলা গণতন্ত্র পন্থীদের আন্দোলন আরো জোরদার হয়.....

মুভিটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত, সুতরাং মুল ঘটনা যেরকম ভাবে ঘটেছিল,মুভিতেও ঠিক সেই ভাবেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।এই মুভিটি আমার দেখা সাম্প্রতিক কালের সেরা কোরিয়ান মুভি।

মুভিটি খুব ফাস্ট এবং তার সাথে আছে দুর্দান্ত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যা এক মুহুর্তের জন্যও বিরক্ত হওয়ার সুযোগ দিবে না। আছে অসাধারণ সুন্দর সিনেমাটোগ্রাফি এবং কলারটোন, যা স্ক্রিনের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করে।

কোরিয়ান মুভির একটা বিশেষত্ব হচ্ছে তাদের প্রায় সব মুভি খুবই আবেগঘন হয়, সেটা যে ক্যাটাগরির'ই হোক না কেন। এই মুভিতেও তার ব্যত্যয় হয়নি, কয়েক মিনিটের ভালোবাসা...অব্যক্ত ভালোবাসা সেটাও চোখে পানি এনে দিবে অথবা মনকে বিষন্ন করে দিবে।
⚫পার্সোনাল রেটিং:৫/৫


⚫4.Loft 2008
দেশ: বেলজিয়াম
পাঁচ বন্ধু ,যারা একেক জন একেক পার্সোনালিটির কিন্তু সবাই খুবই কাছের বন্ধু এবং প্রত্যেকেই বিবাহিত। তারা শহরের নদীর তীরে একটি ভবনের চিলেকোঠা ভাড়া নেয়।যেখান থেকে তারা বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্কের কাজ চালায়।এই চিলেকোঠার মোট পাঁচটি চাবি তৈরি করা হয় ,যা পাঁচ বন্ধুর কাছেই থাকে এবং প্রত্যেকে তাদের সুবিধামতো সময়ে এই চিলেকোঠা ব্যবহার করে। পাঁচ বন্ধুর সময় বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু একদিন ওই চিলেকোঠায় এক মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। পাঁচ বন্ধুর সবাই দাবি করে তারা নির্দোষ। তাহলে মেয়েটি এখানে আসলো কিভাবে এবং খুন হলো কিভাবে?

চিলেকোঠায় প্রবেশ করার যে পাঁচটি চাবি তা তাদের পাঁচ বন্ধুর কাছেই থাকে, সুতরাং বাইরের কারো খুন করার কোনো সুযোগই নেই। শুরু হয় একে অপরের উপর দোষারোপ এবং এভাবে ধীরে ধীরে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসতে থাকে।

দুর্দান্ত গতির এক থ্রিলার মুভি। কিছুক্ষণের জন্যও স্ক্রিন থেকে চোখ ঘোরানো কোন সুযোগই নেই... অভিনয় ,পরিচালনা,সিনেমাটোগ্রাফি এবং কয়েকটা টুইস্ট অবাক করার মতো। মুভিটি একবার দেখলে আপনার দেখা সেরা থ্রিলার মুভির তালিকায় এটা স্থান পাবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি।
⚫১৮+মুভি
⚫পার্সোনাল রেটিং: ৫/৫


⚫5.On The Path 2010
দেশ: বসনিয়া
আমির এবং লোনা দুইজনেই একসাথে বসবাস করে কিন্তু বিয়ে করেননি। ধর্মীয় দিক দিয়ে দুইজনেই মুসলিম, তবে তাদের কাছে ধর্ম শুধু এই পরিচয় দেয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।তারা দু'জনই মদ, পার্টি ইত্যাদি নিয়ে পড়ে থাকে এবং এই কারণে আমিরের চাকরিও চলে যায়। তারপর একদিন আমিরের সাথে দেখা হয় তার এক ধার্মিক বন্ধুর।সেই বন্ধু তাকে একটি চাকরি দেয়।সেই বন্ধুর সংস্পর্শে এসে আমির পুরোপুরি বদলে যায়...মদ, পার্টি, বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কে তার এখন অনিহা।লোনা অবশ্য আমিরের এই বদলে যায় কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না। এটা নিয়ে তাদের সমস্যা তৈরি হয়।

ধার্মিক এবং অধার্মিক এই বিষয়টিতে পরিচালক মাঝামাঝি অবস্থান নিয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। সে আমিরের ধার্মিক হওয়ার বিষয়টিকে সঠিক হিসেবে দেখিয়েছে, আবার কিছু অভিজ্ঞতার কারণে লোনার যে ধর্মের প্রতি অনিহার সেটাও পরিচালক খারাপ ভাবে দেখায়নি।লোনা এবং আমিরের ভূমিকায় অভিনয় করা দু'জনের অভিনয় ছিল খুব ভালো... তবে মুভিটি একটু স্লো ধরনের.. আবার মুভির কোয়ালিটি খুব ভালো না, কারণ মুভিটি শুট করা হয়েছে একটি ডিজিটাল ক্যামেরায়। যাইহোক, মুভিটি আমার মোটামুটি ভালোই লেগেছে।
⚪মুভিটি ১৮+
⚫পার্সোনাল রেটিং:৫/৪


⚫6.Rashomon (1950)
দেশ:জাপান
এক কাঠুরে জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে এক নিহত ব্যক্তির লাশ আবিষ্কার করে। যাকে হত্যা করা হয়েছে। কাঠুরে কতৃপক্ষের কাছে এসে বিষয়টি জানায়।এই হত্যাকাণ্ডের জন্য চলা বিচারকার্যের একজন সাক্ষী হিসেবে ওই কাঠুরে কে আদালতে ডাকা হয়।

কাঠুরে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে পুরো অবাক হয়ে যান, কারণ সে দেখতে পায় যাকে হত্যা করা হয়েছে বা যায় জন্য এই বিচারকার্য চলছে সেই মৃত ব্যক্তি স্বয়ং আদালতে এসে সাক্ষ্য দিচ্ছে।এই বিচারকার্যে আদালতে মোট চার জন সাক্ষ্য দেয়,তবে একেকজনের সাক্ষ্য একেক রকম হয়... এই নিয়েই জাপানিজ চলচ্চিত্র Rashomon.

বলা হয়ে থাকে, Rashomon চলচ্চিত্রটি জাপানি চলচ্চিত্রকে পশ্চিমা দর্শকদের কাছে পরিচিত করে তুলেছে। একে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা কীর্তির মর্যাদা দেয়া হয়।তবে আমার কাছে মুভিটির সেই অনুযায়ী ভালো লাগেনি, আমি কেন যেন এটাতে এতো আকর্ষণ খুঁজে পাইনি।হতে পারে আমি হয়তো মুভিটি মনোযোগ সহকারে দেখিনি, অথবা এমনও হতে পারে এরকম ক্লাসিক মুভি দেখার দর্শক আমি নই।
⚫পার্সোনাল রেটিং;৫/৪


⚫7.Wolf (2018)
দেশ: তুরস্ক
২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুভিটি নির্মিত হয়েছে..যে অভ্যুত্থানকে প্রতিহত করতে গিয়ে ৬০ জন সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। মুভিতে মূলত ওই দিন রাত্রে অভ্যুত্থান প্রতিহত করার জন্য পুলিশের বিশেষ বাহিনীর যে ভূমিকা ছিল সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।

অনেক আশা নিয়ে মুভিটি দেখতে বসেছিলাম।ভেবেছিলাম এই প্লট নিয়ে তৈরি মুভিটি অবশ্যই অনেক ভালো হবে। কিন্তু মুভিটি আমার কাছে ভালো লাগেনি।ভিজুয়াল ইফেক্ট, ডায়লগ, সাউন্ড খুব খারাপ ছিল।
⚫পার্সোনাল রেটিং;৫/৩


⚫8.Flight Crew (2016)
দেশ: রাশিয়া
রাশিয়ান একটি প্লেন অগ্নিগিরির অগ্নুৎপাতের কারণে আটকে পড়া কিছু মানুষকে উদ্ধার করতে যায় এবং সেখানে গিয়ে সেই প্লেন এবং তার কর্মীরাও আটকে পড়ে।সেই আটকে পড়া মানুষ এবং প্লেন কিভাবে ফেরত আসে সেটাই নিয়েই এই রাশিয়ান মুভিটি।

খুব সাধারণ প্লট..বুঝাই যাচ্ছিল শেষ কি হতে পারে। তবে ভিজুয়াল ইফেক্ট, অভিনয় ছিল খুবই ভালো।এটি ২০১৬ সালে রাশিয়ার সবচেয়ে আয় করা মুভি এবং রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে আয় করা মুভি গুলোর মধ্যে এর অবস্থান পঞ্চম।আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে, কারণ সব তথ্য দেখার পরে ভালোলাগার প্রত্যাশাটা আরো বেশি ছিল।
⚫পার্সোনাল রেটিং;৫/৪


⚫9.A Time to Kill (1996)
ভাষা: ইংরেজি
দশ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েকে দুই শ্বেতাঙ্গ যুবক ধর্ষণ করে এবং মারাত্মকভাবে আহত করে।পুলিশ ওই দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে কিন্তু উপযুক্ত বিচার পাবে না এই বিশ্বাস থেকে ওই কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ের বাবা দুই ধর্ষককে গুলি করে হত্যা করে।ওই কৃষ্ণাঙ্গ পিতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এরপর তার বিচার কার্য শুরু হয়।তার পক্ষে আইনি লড়াই করে এক শ্বেতাঙ্গ উকিল।এরপর থেকে সেই উকিল এবং তার পরিবারের উপর নেমে আসে বিভিন্ন বিপদ ... কিন্তু শত বাধা সত্ত্বেও সেই উকিল তার অবস্থান থেকে পিছিয়ে যায় না। আবার অন্যদিকে এই বিচারকার্য চলার সময় শহরে কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

ম্যাথু ম্যাকনাহে অভিনীত একটি মাস্টওয়াচ মুভি। মুভিতে তাঁর অভিনয় ছিল অনবদ্য। মুভিটি একটি উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
⚫পার্সোনাল রেটিং;৫/৫


⚫10. Frailty (2001)
ভাষা: ইংরেজি
এক বর্ষণমুখর রাতে এফবিআই এর অফিসে এক রহস্যময় যুবক উপস্থিত হয়। সে তার পিতা কিভাবে একজন ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার হয়ে ওঠে তার বর্ণনা এক এফবিআই এজেন্টকে দিচ্ছিল।তার কথা অনুযায়ী,"তার পিতা একদিন স্বপ্ন দেখে ঈশ্বর তাকে নির্দেশ দিয়েছে মানুষ রুপি শয়তানদের হত্যা করতে এবং তার পর থেকে সে সেটাই করতে থাকে। তারা ছোট দুই ভাই পিতাকে এই কাজে সাহায্য করে।"

ম্যাথু ম্যাকনাহে অভিনিত আরো একটি মাস্টওয়াচ থ্রিলার মুভি। যদিও এটাতে উনার অভিনয় খুব বেশি সময়ের জন্য ছিল না। কারণ মুভিতে তাঁর ছেলেবেলার অংশ বেশি দেখানো হয়েছে।আর মুভির শেষের টুইস্ট ছিল অস্থির।
⚫পার্সোনাল রেটিং;৫/৪.৫০

🔴নোট; প্রদত্ত রেটিং মুভি দেখে আমার ভালো লাগা মন্দ লাগার উপর ভিত্তি করে দেয়া।সুতরাং এই রেটিং এর সাথে যদি আইএমডিবি'র রেটিং এর কোন মিল খুজে না পান তাহলে তার জন্য আমি দায়ী থাকব না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.