দিলিরিয়াস আরত্রুলগোল নিয়ে ১০ টি অজানা তথ্য

হ্যালো বন্ধুরা, দিরিলিস আর্তগুলের নাম শুনেননি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। বিখ্যাত এই টিভি সিরিজকে তুরস্কের গেম অব থ্রোন বলে ডাকা।আর ডাকা হবেই বা না কেন? কি নেই এই টিভি সিরিজে। একটি ঐতিহাসিক টিভি সিরিজে যা যা থাকা দরকার তার সব কিছুই এই দিরিলিস আর্তুগুলে আছে।আজকে আপনাদের জানাবো এই দিলিরিয়াস আরত্রুলগোল নিয়ে ১০ টি অজানা তথ্য,যা আপনি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন।


# দিরিলিস সিরিজটি ১০০ শ এর বেশি দেশে প্রচারিত হয়েছে এবং হচ্ছে। কিছু দেশে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় দিরিলিস সিরিজটি ডাবিং করে প্রচারিত হয়েছে সেসব দেশের জাতীয় টেলিভিশনগুলোতে।

# দিরিলিস এর প্রতিটি এপিসোড ২ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের। শতাধিক এপিসোডের এই সিরিজটি অনেক শক্তিশালী ও বির্তকিত। কিন্তু অবাক করা তথ্য হলো এই সিরিজে যে ঐতিহাসিক তথ্য দেখানো হয়েছে তা মাত্র সাত পাতার একটি প্রচীন উৎস থেকে পাওয়া।

# দিরিলিসের যে ক্যোরিওগ্রাফার ছিলো নোম্যাক কোম্পানি। একই কোম্পানি হলিউডের এক্সপেন্ডিবলস ২, রোনিন ও কোনান দ্য বারবারিয়ানের মত চলচ্চিত্রের মত অ্যাকশন ক্যোরিওগ্রাফি করেছে। 

#কাস্ট এন্ড ক্রকেও ট্রেনিং এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সোর্ড, ফাইট, স্ট্যান্ড শেখানোর জন্য কাজাখস্তান থেকে একটি স্পেশাল টিমকে হায়ার করা হয়েছে। 

# শুধু শত শত অভিনেতা নয়, পুরো সিরিজ জুড়ে শত শত পশু -প্রাণীদের দেখা যায়। দিরিলিস সিরিজ ব্যবহৃত সকল ঘোড়া একজন ভেটেরিয়ানের তত্ত্বাবধানে ছিলো। কোনো গ্রাফিক্সের কাজ নেই সেখানে। এমনকি অন্যান্য পশু-পাখি ব্যবহার করার জন্যে একটি অস্থায়ি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয় সেটের পাশে। যেনো পশু-পাখিদেরও সঠিক দেখভাল করা হয়। 

# এই সিরিজ শুরু হওয়ার পর এর টিআরপি রেটিং ছিলো ৫.৫৩। কিন্তু এরপর পুরো তুরস্ক জুড়ে যেনো দিরিলিস ঝড় বয়ে যায়। ১২২তম এপিসোডে এর রেটিং পোঁছায় ১৭ তে।

# প্রতিটি চরিত্র সিরিজ থেকে বিদায় নেয়ার সময় অর্থাৎ শ্যুটিং শেষ হবার পর হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হত সেটে। কেনোনা সবাই একটি পরিবার হয়ে গিয়েছিলো। বিশেষ করে সুলাইমান শাহ চরিত্রের বিদায় সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন কাস্ট এবং ক্রয়ের মেম্বররা। 

# তুরস্কের ন্যাশনাল টেলিভিশনের প্রচারিত এই সিরিজটি দেশটির প্রেসিডেন্টেরও অনেক পছন্দের। তাই তো তিনি তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে একদিন দিরিলিস শ্যুটিংয়ের সেটে চলে যান। অভিনেতা ও টেকনিশিয়ানদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। শুধু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নয় ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরাও দিরিলিসের সেটে আসেন। এমনকি তুর্কি যোদ্ধাদের টুপিও পরে থাকতে দেখা যায় তাকে। 

# দিরিলিস এতোটাই জনপ্রিয় সিরিজ যে রেকর্ড বুকেও তার নাম উঠেছে বার বার। গিনেচ বুকেও নাম লিখিয়েছে দিরিলিস। গিনেচ ওয়াল্ড রেকর্ড ‘বেস্ট ড্রাম্যাটিক ইন দ্যা হিস্টোরি অব গ্লোবাল ড্রামা’। এছাড়াও দিরিলিসের পর্বগুলো ইউটিউবে প্রচার শুরুর পর ইউটিউবের অনেক রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছিলো এই সিরিজটি।

বেশ কিছু মানুষ এই সিরিজ থেকে ইসলাম ধর্মের কনভার্ট হয়েছে। এমনি এক নওমুসলিমের নাম খাদিজা, এক সাক্ষাৎকারে খাদিজা নামের  নওমুসলিম ওই নারী বলেন, ওই সিরিজটি যখন চোখে পড়লো তখন আমি  এর পুরোটা দেখলাম। এভাবে আমার দেখা শুরু হলো। নেটফ্লিক্সে ওই সিরিজের কয়েকটি পর্ব দেখার পর ইসলামের প্রতি আমার আগ্রহ তৈরি হলো। বিশেষ করে আরতুগ্রুল সিরিজে মহিউদ্দিন ইবনে আরাবীর সংলাপগুলো তার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।তার কথাগুলো অনেকবার তাকে কাঁদিয়ে গেছে।

কাশ্মীরসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে তুরস্কের এ সিরিজটি ভীষণ জনপ্রিয়।বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অধিকৃত উপত্যকাটিতে এখন নবজাতকদের ‘আরতুগ্রুল’ নাম রাখারও হিড়িক পড়েছে।২০১৭ সালের অক্টোবরে নেটফ্লিক্স তুরস্কের এই ঐতিহাসিক ড্রামাটি অনলাইনে ‘স্ট্রিম’শুরু করার পরই ভারতে তা তুমুল সাড়া ফেলে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আদেশের পর সে দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভিতে এই সিরিজের সম্প্রচার শুরু হয় হয় এবং মাত্র পোনেরো দিনের মাথায় পিটিভির ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।যে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এখন প্রায় চৌদ্দ মিলিয়ন।

লেখাটি ভিডিও চিত্র পাবেন ইউটিউবে:দিরিলিস আর্তুগ্রুলের ১০টি অজানা ও অবাক করা তথ্য


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.